সীতাকুণ্ডে জমে উঠেছে ঈদবাজার, বিদেশি পণ্যেই ক্রেতাদের ঝোঁক

ঈদের এখনো অনেক দিন বাকি। তবে ঈদকে সামনে রেখে সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন শপিংমলে ক্রেতাদের উপছেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

গত কয়েকদিনের গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্রেতা সাধারণ তাদের পছন্দের শাড়ি-কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রী ক্রয় করতে ঈদের বাজারে ছুটে আসছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকছেন পরিবারের সদস্যরা।

উপজেলা সদরের বটতল এলাকা থেকে আসা ইসরাত জাহান তামান্না, নুছরাত জাহান তানজিলা ও রাজিয়া সুলতানা ডলি জানান, তারা প্রতিবছর ঈদের কাপড় কেনার জন্য সীতাকুণ্ড পৌরসদর বাজারে আসেন। এ বছর কাপড়ের দাম অনেকটা হাতের নাগালের মধ্যে থাকলেও ইন্ডিয়ানসহ বিদেশি কাপড়ের দাম একটু বেশি। দেশের পণ্য বিদেশি কাপড়ের চাইতে গুণগত দিক দিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। সব কাপড়ই পছন্দ হচ্ছে তবে এ বছর গাউন ও কাতান থ্রি-পিসের চাহিদা একটু বেশি বলে মত দেন তারা।

সীতাকুণ্ড কলেজ রোডের বদিউল আলম নিউ মার্কেটের শাড়ি বাজারের মালিক বাবলু চক্রবর্তীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এ বছর ১২তম রোজা থেকে ঈদের বিক্রি বেড়েছে। দেশীয় তাঁতের শাড়ি ৫শ’ থেকে ৪ হাজার, জামদানি ৮শ’ থেকে প্রায় ৮ হাজার পর্যন্ত, ইন্ডিয়ান বেনারশী আড়াই হাজার থেকে ৪০ হাজার, ইন্ডিয়ান কাতান ১২শ’ থেকে ১৬ হাজার পর্যন্ত, কান্সি কাতান আড়াই হাজার থেকে ৪০ হাজার, পার্টি শাড়ি ১৫শ’ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ বছর ইন্ডিয়ান শাড়ির চাহিদা অনেক বেশি থাকলেও দেশি কাপড়ের গুণগত মান অনেক উন্নত বলে জানান তিনি।
সীতাকুণ্ডে জমে উঠেছে ঈদবাজার, বিদেশি পণ্যেই ক্রেতাদের ঝোঁক 1

সীতাকুণ্ড পৌরসভা থেকে ঈদের কাপড় কিনতে আসা ফারিহা জাহান মুন্নি ও রজিনা আক্তার বলেন, তারা দেশীয় সুতির থ্রি-পিসসহ আরও কিছু জামা-কাপড় কিনেছেন। এ বছর ইন্ডিয়ান কাতান শাড়িসহ বিভিন্ন থ্রি-পিসের কদর বেশি। তাই ক্রেতারা বিদেশি কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন। তবে দেশিয় কাপড়ের ডিজাইনও অনেক ভালো লেগেছে বলে জানান তারা।

কলেজ রোড়ের শাড়ী মেলা দোকানের মালিক তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম রোজা থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। দেশীয় থ্রি-পিস ও বুটিক্স বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৬ হাজার, গ্রাউন ১৩শ’ থেকে ৬ হাজার টাকা। এছাড়া ইন্ডিয়ান বিনয়, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস লাসা, কেটরিনা, চেন্নাইয়ের দিকে নারীরা বেশি ঝুঁকছেন। তিনি বলেন, এখন বিক্রি ভালো হচ্ছে।

মরিয়ম প্লাজায় আসা ক্রেতা লিমা আক্তার বলেন, কাতান, হাফ শিল্ক শাড়ি ও থ্রি-পিস গাউন, লাসা ও বিনয় ক্লাসিকের দিকে মহিলা ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। কেনাকাটা ভালো হচ্ছে। বৃষ্টিতে ঘর থেকে ক্রেতারা বের হতে পারেনা। এ সময়ে বৃষ্টি না হলেই আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হবো।

এস.আর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!