সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর সিসিটিভি ফুটেজ সিআইডির হাতে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম ডিপোতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে ৪১ জন নিহতের ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও আইপি ক্যামেরা জব্দ করা হয়।

শনিবার (১১ জুন) সকালে সিআইডির চার সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কন্টেইনার ডিপোর লাগানো থাকা ১১৮টি সিসি ও ৩২টি আইপি ক্যামেরা জব্দ করা হয়। এসময় ডিপোর পুরো এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে দলের সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহনেওয়াজ খালেদ। তিনি বলেন, ‘সকালে আমাদের একটি টিম সেখানে গিয়েছিল। আমরা সেখানকার আলামত সংগ্রহ করে থানায় জমা দিয়েছি। মূলত থানাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে সিআইডির পরিদর্শক মো. শরীফ উদ্দিন জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে শনিবার সেখানে গিয়ে ডিপোতে লাগানো থাকা অবস্থায় ১১৮টি সিসি ও ৩২টি আইপি ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে। ডিপোর বেশ কিছু বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করছি। একই সঙ্গে ‘ডিজিটাল এভিডেন্স’ সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আগুনের পর বিস্ফোরণে আইটি রুম এবং বেশ কিছু ক্যামেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ক্যামেরা পাওয়া গেছে সেগুলো থেকে বোঝার চেষ্টা করা হবে।’

আইপি ও সিসি ক্যামেরাগুলো এবং কিছু ডিভিআর জব্দ করা হয়েছে। পরে এগুলো সীতাকুণ্ড থানার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তারা সেগুলো ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরে পাঠাবে এবং সেখানে পরীক্ষাগারে ক্যামেরাগুলো থেকে ভিডিও, ছবি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে- যোগ করেন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে অবস্থিত বেসরকারি ওই কন্টেইনার বিএম ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!