সীতাকুণ্ডের দুর্গম পাহাড়ে ত্রাণকাঁধে ছাত্রলীগ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সদর থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান জুম্মা পাহাড়ের। স্থানীয় ভাবে ত্রিপুরা পাড়া নামে পরিচিত এলাকাটি। পাঁচ’শ ফুট উঁচু দুর্গম এই পাহাড়ে থাকে ৪০টি ত্রিপুরা পরিবারের প্রায় ৩০০ সদস্য।

খাদ্যের যোগান দিতে তারা পাহাড়ে করে চাষাবাদ। আর কাঠ কেটে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেই চলে তাদের সংসার জীবন। বর্তমান করোনা পরিস্তিতি তাদের জীবনযাপনেও এনেছে সংকট। কারণ বাজারে লোকজনের আনাগোনা কম। তাই কাঠ কেনার মানুষও কমে গেছে। আবার এই ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর করোনাভাইরাস নিয়ে নেই কোন সচেতনতা। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কেও তাদের নেই কোন ধারণা।

দুর্গম পাহাড়ে পিছিয়ে থাকা এই জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছে এবার স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ত্রাণকাঁধে তাদের ঘরে ঘরে ছুটে গেল তারা। পাশাপাশি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের নানা কৌশলও তারা শিখিয়েছেন এই জনগোষ্ঠীকে। গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) ও মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুই দফা তারা ওই পাহাড়ে বসবাসরত ৪০টি পরিবারের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয় চাল, ডাল, আলু, তেল, শুকনা খাবার ও সাবান।

স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী শুভ বনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে ত্রিপুরা পাড়ার এই জনগোষ্ঠীর কোন ধারণাই ছিল না। আমরা সাধ্যমতো সচেতন করার চেষ্টা করেছি, ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। তারা জানিয়েছে, প্রশাসন সেখানে এখনো কোন সহযোগিতা প্রদান করেনি।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুর বলেন, ‘স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীরা দুর্গম এই এলাকায় ত্রাণ সহায়তা ও সচেতনা সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা আমাকে জানায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি তাদের সহযোগিতা করেছি।’

এএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!