সিমই শুধু নয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিরাতে অচল হবে থ্রিজি-ফোরজি নেটওয়ার্কও
অনির্দিষ্টকালের জন্য সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হল কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায়। একই সঙ্গে সেখানে প্রতি রাতে বন্ধ করা হবে থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্কও। টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অন্তত নয় লাখ মোবাইল সিম চালু রয়েছে।
অতি সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের সমাবেশ এবং রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি মোবাইল অপারেটরদের কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেটিও প্রতি রাত করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হবে।
সোমবার বিটিআরসির কার্যালয়ে মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের ওই দুই উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্যে নতুন সিম বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চালু থাকা সব সিমের ক্রেতার পরিচয় যাচাই করতেও বৈঠকে অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।
এছাড়াও বিটিআরসি অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে, মিয়ানমার সীমান্তের ভিতরে চলে যাওয়া বাংলাদেশী মোবাইল টাওয়ারের নেটওয়ার্ক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে।
বিটিআরসির নির্দেশনায় যা আছে
‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জন সুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন কোনরকম মোবাইল সুবিধা না পায়, সেজন্য আগে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিটিআরসির ক্যাম্প পরিদর্শন কমিটি, গোয়েন্দা সূত্র ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে রোহিঙ্গাদের হাতে ব্যাপক হারে সিম/রিম ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে’।
‘তাই আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোন প্রকার সিম বিক্রিসহ সকল প্রকার মোবাইল সুবিধা বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে বিটিআরসিকে অবহিত করতে হবে’।
এর আগে সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় মোবাইল সেবা বন্ধ করতে অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সেটি কার্যকর করতে অপারেটরদের প্রতি বিটিআরসি ওই নির্দেশনা জারি করেছে।