সিএমপি কমিশনার তানভীরের ৫ নির্দেশনা

মানবিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ জনগণের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে তা ধরে রেখে সিএমপিতে আরও যেসব ক্ষেত্রে উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের লক্ষে কাজ করে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সদ্য যোগদান করা সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর। এছাড়া চট্টগ্রামে সেফ সিটি কনসেপ্ট বাস্তবায়নে কাজ করার কথাও বলেন সিএমপি কমিশনার।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিএমপি কমিশনার।

প্রশিক্ষণ, সুপারভাইজিং, মনিটরিং ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে পুলিশ প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতি, মাদকসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার কথাও বলেন সিএমপিতে সদ্য যোগ দেওয়া এই পুলিশ কমিশনার।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল মহোদয় দুর্নীতি, মাদকসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সিএমপির বাইরে বিট পুলিশিং, কোয়ালিটি ইনভেস্টিগেশন কাজ করবো। আমরা পরিকল্পনা করেছি- প্রশিক্ষণ বাড়ানো, সুপারভাইজিং নিবিড় করা, মনিটরিং বাড়ানো, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে তদন্তের মান উন্নয়ন।

সিএমপির অর্জন ধরে রেখে সম্ভাব্য উন্নতির বিষয়ে কাজ করবেন জানিয়ে পুলিশ কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, করোনাকালীন সময়ে সিএমপির প্রতিটি সদস্য মানবিক পুলিশিং করে বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমার পূর্ববর্তী সহকর্মী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বে দিয়েছেন। আমি সিএমপির যে সমস্ত অর্জন রয়েছে তা ধরে রাখার চেষ্টা করবো। যে সকল ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ আছে সেগুলোকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেফ সিটি কনসেপ্ট রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশেও রয়েছে। এলাকাভিত্তিক এটি চালু রয়েছে। সীমিত জনবল নিয়ে হলেও সিএমপিতেও আমরা এটি শুরু করতে চাই।

যাদের আশ্রয়ে নগরে কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসা বিস্তার হচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, মাদকের মাধ্যমে নানা অপরাধ হয়। প্রতিটি মাদকের আগে ও পরে নানা লিংকআপ থাকে। আমরা শুধু যিনি মাদক বহন করবে তাকেই নয়, এর পেছনে যারা থাকবে তাদেরও আইনের আওতায় আনবো। কিশোর গ্যাং একটি বাইপ্রোডাক্ট সমস্যা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকে। প্রতিটি কিশোর গ্যাংয়ের মাথায় একজন ছাতা ধরে থাকেন, শেল্টার দেন। এরকম যারা থাকবেন তারাও পার পাবেন না। আমরা কাউকে ছাড় দিব না।

এছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, থানাগুলোকে দালাল মুক্ত করাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা সম্পর্কেও এসময় সাংবাদিকদের অবহিত করেন সিএমপি কমিশনার।

মিট দ্য প্রেসে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-কমিশনার (সদর) আমির জাফরসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!