সিইউএফএল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে, পানি খেয়ে মহিষের মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় রাষ্ট্রাত্ব প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানির (সিইউএফএল) নির্গত গ্যাসের বর্জ্য বারশতের গোবাদিয়া খালে প্রবেশ করছে। ফলে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে ওই খালের পানিও। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গোবাদিয়া খালের পানি খেয়ে একটি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানার বিষাক্ত পানি স্থানীয়দের অবগত না করে খালে ছাড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ বলেছে শুক্রবার সকালে পানি পরীক্ষা করে যদি বিষক্রিয়া পাওয়া যায় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি সিইউএফএলের নির্গত গ্যাসের পানি বারশত ইউনিয়নের গোবাদিয়া খাল দিয়ে চলাচল করে থাকে। খালের আশপাশে স্থানীয়দের গরু-ছাগল ও মহিষ বিচরণ করে থাকে। পূর্বে কারখানার বিষাক্ত গ্যাসের পানি ছাড়লে আগে এলাকায় মাইকিং করত। কিন্তু গতকাল কোনো ধরনের মাইকিং ছাড়াই কারখানার বিষাক্ত পানি ছেড়ে দিলে স্থানীয় ইউসুফের একটি গবাদি মহিষ মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ইউসুফের দাবি- সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের কোনো ধরনের অবগত না করে বিষাক্ত পানি-বর্জ্য ছাড়াতে তার মহিষের মৃত্যু হয়েছে। তাই প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের পাশের বাবু, ছৈয়দ ও এসকান্দরের গরুও পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত পশু ডাক্তার এনে চিকিৎসা দিলে সুস্থ হয়ে উঠে গরুগুলো। আমরা এখন গরু-মহিষ নিয়ে আতঙ্কে আছি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম শাহ্ বলেন, পূর্বে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ বর্জ্য পানি ছাড়ার সময় মাইকিং করতো। পানি ছাড়ার দিনক্ষণও জানিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু গতকাল স্থানীয়দের কোনো প্রকার অবগত না করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

এ বিষয়ে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহিম বলেন, খালের পানি পরীক্ষা না করে বিষক্রিয়া আছে কিনা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। শুক্রবার সকালে খালের পানি পরীক্ষা করে বিষাক্ত গ্যাসীয় বর্জ্য আছে কিনা দেখা হবে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!