সিআরবিতে এক রেল কর্মচারীর জন্য বরাদ্দ দুই বাসা!

আইন অনুসারে পদবি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রত্যেক কর্মচারী একটি বাসা বরাদ্দ পান। কিন্তু সিআরবি হাসপাতালে কর্মরত এক কর্মচারীর নামে রয়েছে দুটি বাসা বরাদ্দ। তার মাসিক বেতন থেকে দুটি বাসার বৈদ্যুতিক বিলও কেটে নিচ্ছে রেলওেয়ের ডিপিও ক্যাশ বিভাগ।

সিআরবি হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে এক রেল কর্মচারীর অধীনে দুটি বাসা বরাদ্দ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম জিয়াউর রহমান জিয়া। তিনি সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালে উচ্চমান সহকারী পদে নিয়োজিত। জিয়া ডা. ফাতেমা আক্তারের (ডিএমও) অধীনে কর্মরত রয়েছেন।

কাগজপত্র ঘেটে দেখা যায়, উচ্চমান সহকারী জিয়াউর রহমান জিয়ার অনুকূলে রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনির বাসা— ব্লক নম্বর এম/২৯/ ই ও এম/২৯/ সি বরাদ্দ রয়েছে। অবৈধ পন্থায় একটি বাসার স্থলে দুটি বাসা নিজের নামে বরাদ্দ রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা। ডিপিও পাহাড়তলী বিল সেকশনে গিয়ে দেখা যায়, জিয়ার নামে দুটি বাসা বরাদ্দ রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এ দুই বাসার বৈদ্যুতিক বিল বাবদ কেটে রাখা হয় ২ হাজার ৮০ টাকা।

সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বরে ডা. ফাতেমা আক্তারকে (ডিএমও) জিয়াউর রহমানের নামে অতিরিক্ত বরাদ্দকৃত বাসা নম্বর— এম/২৯/সি বরাদ্দ বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে বাসাটি রাজন দাশকে (ক্লিনার) বাসা বরাদ্দ দিতে চিঠি (নম্বর ৫৪,০১, ১৫০০) দেন বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা। এতেও কান দেননি ডা. ফাতেমা।

অভিযোগের সুরে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত স্টাফরা বাসা দুটির মধ্যে যে কোন একটি বরাদ্দ পেতে ডা. ফাতেমা আক্তার (ডিএমও) বরাবর আবেদন করেও বরাদ্দ পাননি। বেআইনি জানার পরও উচ্চমান সহকারী জিয়াকে দুটি বাসাই বরাদ্দ দিয়ে রাখেন ডা. ফাতেমা। তার আশীর্বাদেই জিয়ার জন্য দুটি বাসা বরাদ্দ থাকে।

এদিকে এ বিষয়ে ডা. ফাতেমা আক্তারের মতামত জানতে তার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি রোগী আছে জানিয়ে কথা বলেননি। পরে কল ও মেসেজেও তার সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবনিযুক্ত সিএমও ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘দুটি বাসা বরাদ্দ দেওয়া কোনভাবেই বৈধ নয়। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একটির জায়গায় দুটি বাসা কিভাবে বরাদ্দ পেলেন জানতে চাইলে উচ্চমান সহকারী জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘দুটি বাসা নিজের নামে বরাদ্দ রাখার বিষয়টি অনুচিত। অতি শীঘ্রই অতিরিক্ত বাসাটি হস্তান্তর করবো।’

জেএস/এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!