সাড়ে ৭০০ একর এলাকা অরক্ষিত, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে বণ্যহাতি

দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ৭৫০ একর এলাকায় নেই সীমানা প্রাচীর! ফলে ওই এলাকা দিয়ে প্রায় সময় পার্কে ঢুকে পড়ছে বন্যহাতির দল। এতে পার্কে থাকা বন্যপ্রাণীগুলো পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে দর্শনার্থীরা।

পার্ক সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। প্রায় ৯০০ হেক্টর অর্থাৎ ২ হাজার ২৫০ একর এলাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি গড়ে উঠে। শুরুতে ৬ হেক্টর অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০ একর এলাকায় সীমানা প্রাচীর গড়ে তুলা হয়। জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য বাকি ৭৫০ একর এলাকা খোলা রাখা হয়। যাতে ওই এলাকার মধ্যেও পাহাড়ের বন্যপ্রাণী অবাধ বিচরণ করতে পারে।

জানা গেছে, পার্কের হায়দারনাশি এলাকায় একটি ছড়াখাল রয়েছে। ওই খালের উপর কোন কালভার্ট না থাকায় বন্য হাতির দল সরাসরি পার্কের ভেতর ঢুকে পড়ছে। সম্প্রতি ওই এলাকা দিয়ে ২০-২২টি বন্যহাতির দল পার্কে ঢুকে অবস্থান নিয়েছে। রাতের আধারে ওই বন্যহাতির দলটি ওই ছড়াখাল দিয়ে প্রবেশ করেছে। নষ্ট করেছে বেশ কয়েকটি বেষ্টনী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাফারি পার্কের ৭৫০ একর এলাকাকে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। যাতে পাহাড়ের বন্যপ্রাণী ছাড়াও হাতির দল ওই এলাকায় অবস্থান নিতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বন্য হাতির দল অতিরিক্ত খাবারের আশায় হায়দারনাশি এলাকার ছড়াখাল দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ওই বন্যহাতির দল পাকের পূর্ব অংশে অবস্থান করছে। এরা ইতোমধ্যে পার্কের বেশ কয়েকটি বেষ্টনি ভাংচুর করেছে। বন্যহাতির দল যাতে পার্কের মূল অংশে ঢুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

এ বিষয়ে চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক শেখ বলেন, পার্কের একটি অংশে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ৭০০ একর এলাকা উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি লক্ষ্য করছি ওই এলাকা দিয়ে বন্যহাতির দল পার্কের ভেতর ঢুকে পড়ছে। এছাড়াও হারদারনাশির ছড়াখাল দিয়েও বন্যহাতির দল পার্কে ঢুকে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে যে সমস্ত এলাকা দিয়ে বন্য হাতি ঢুকছে সেসব এলাকা চিহিৃত করেছি। এজন্য সীমানা প্রাচীর ও ছড়াখালের কালভার্ট নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি চলতি অর্থবছরে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু করতে পারবো।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!