সারা দেশে পটিয়াতেই ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম, বানারীপাড়ায় বেশি

ইভিএমের তুলনায় ব্যালটে ভোটের পরিমাণ বেশি

সারা দেশে চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ৫৫টি পৌরসভার ভোটে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে চট্টগ্রামের পটিয়ায়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া এই পৌরসভায় ভোট পড়েছে ৪৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি হারে ভোট পড়েছে বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায়। ব্যালটে অনুষ্ঠিত এই পৌরসভায় ৯২ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

দেখা গেছে, পৌরসভাগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) তুলনায় কাগজের ব্যালটে গড়ে বেশি সংখ্যক ভোট পড়েছে।

অন্যদিকে সারা দেশে বিএনপির যে ২৩ জন মেয়র প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া ও চন্দনাইশে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী। নিয়ম অনুযায়ী, পৌরসভা নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় সেখানে ভোট হয়েছে শুধু কাউন্সিলর পদে।

চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোট পেয়েছেন ৫৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থীরা পেয়েছেন ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ ভোট। সংখ্যার হিসাবে, এই ধাপে ৫২টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পেয়েছেন ছয় লাখ সাত হাজার ৬১৮ ভোট। বিএনপির প্রার্থীরা পেয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৮ ভোট। অবশ্য রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছিল না।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ৫৪টিতে মেয়র পদে ভোট হয়। চারটি কেন্দ্র বন্ধ থাকায় নরসিংদী ও দুটি কেন্দ্র বন্ধ থাকায় শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় এ দুটি পৌরসভায় বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলো বাদে বাকি সব কেন্দ্রের ফল একীভূত করেছে।

ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এসব পৌরসভায় ১৬ লাখ ১৪ হাজার ১১১টি ভোটের মধ্যে মেয়র পদে পড়েছে ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩১ ভোট, যা মোট ভোটের ৬৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে বিএনপির ২৩ প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। চতুর্থ ধাপের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৪৭টিতে, বিএনপি একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চারটিতে মেয়র পদে জয় পেয়েছেন। নরসিংদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও ডামুড্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।

অন্যদিকে পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ২৩ জন মেয়র প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, পৌরসভা নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। চট্টগ্রামের পটিয়া ও চন্দনাইশ ছাড়া অন্য পৌরসভাগুলো হচ্ছে— রানীশংকৈল, কালাই, বড়াইগ্রাম, তাহেরপুর, জীবননগর, চৌগাছা, বাঘারপাড়া ও বাগেরহাট। আরও রয়েছে মুলাদী, গোপালপুর, বাজিতপুর, মিরকাদিম, মাধবদী, রাজবাড়ী, নগরকান্দা, আখাউড়া, দাউদকান্দি, কচুয়া, ফরিদগঞ্জ, রামগতি ও ত্রিশাল।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!