সামাজিক ব্যাধি যৌতুক থেকে রেহাই পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে

যৌতুকমুক্ত বিয়ের জন্য যুবকদেরকে সরকারি-বেসরকারিভাবে চাকরিতে অগ্রাধিকার, স্বাবলম্বী করতে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ম্যারেজ ফান্ড গঠন, যৌতুক ও নারী নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন সামাজিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত যৌতুকবিরোধী মহাসমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় যৌতুকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আনজুমানে রজভীয়া নুরীয়া বাংলাদেশ বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে এবং এ সংগঠনের চেয়ারম্যান আল্লামা আবুল কাশেম নুরীর আহ্বানে অনুষ্ঠিত যৌতুকবিরোধী নবম মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্বে করেন নগর আনজুমানের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক।

উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন। প্রধান বক্তা ছিলেন আনজুমানে রজভীয়া নুরীয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা আবুল কাশেম নুরী।

তিনি বলেন, ১৪০০ বছর আগে অন্ধকার যুগে নারীর মর্যাদা ও অধিকার বলতে কিছুই ছিলনা। নারীরা ছিল অধিকার বঞ্চিত, বিপন্ন ও মর্যাদাহীন। নারী জাতিকে এই অন্ধকার জগত থেকে ফিরিয়ে এনে সর্বপ্রথম মহানবী (দ.) নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তিনি বলেন, সভ্যতার অগ্রগতির যুগেও বিশ্বজুড়ে চলছে নারী নিপীড়ন ও নারীর প্রতি নিগৃহ। গরিব পরিবারের ঘরে ঘরে নীরব কান্না ও আহাজারি চলছে। যৌতুক দিতে না পারায় প্রতিদিন শত শত সংসার ভেঙে যাচ্ছে। নারীদের প্রতি এই অমানবিক নিপীড়ন বন্ধ করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

এম এ মতিন বলেন, যৌতুক ও জঙ্গিবাদ আজ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যৌতুকের ব্যাধি থেকে নারী সমাজকে মুক্তি দিতে সামাজিক জাগরণ ও রাষ্ট্রীয় কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তৃতির পেছনে সাম্রাজ্যবাদীদের হাত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ইসলামে যৌতুকের স্থান নেই। যৌতুক নামক এই সামাজিক ব্যাধি থেকে রেহাই পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক অভিশাপ। ইসলামী নির্দেশনা মেনে বরের সাধ্যানুযায়ী মুহরানা ধার্য করতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী, মাওলানা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, সোলায়মান খান রব্বানী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, ইসলামী ফ্রন্ট নেতা মাওলানা নুরুল ইসলাম জাহেদী, রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, অধ্যাপক কাজী মাওলানা ইউনুছ, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী, সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, যুব সেনা নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।