হাটহাজারীর চায়ের দোকানের টেলিভিশন যাবে প্রশাসনের জিম্মায়

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের চায়ের দোকানে লেগে থাকে ভিড়। এক কাপ চা সামনে নিয়ে সময় কাটায় কেউ এক ঘন্টা, কেউবা আরও বেশি। তার কারণ টেলিভিশন। এই টেলিভিশনই গ্রামের মানুষকে ঘর থেকে বের করে চায়ের দোকানে আনছে বলে মনে করছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।

তাই মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) থেকে হাটহাজারীর প্রত্যেক ইউনিয়নের হাটবাজারের চায়ের দোকান থেকে টেলিভিশনগুলো ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে হাটহাজারী ইউএনও রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত বন্ধ রেখেছে সরকার। মানুষকে ঘরে রাখতেই এই আয়োজন সরকারের। অথচ প্রশাসন নানামুখী সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালালেও সচেতন হচ্ছেনা গ্রামের মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে সন্ধ্যা নামতে ভিড় শুরু হয়। এক কাপ চা খেতে এসে এক-দুই ঘন্টাও বসে থাকে গাদাগাদি করে দোকানের ভেতর। আমি এ বিষয়টি কেন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখলাম। কয়েকটি গ্রামের বেশকিছু চায়ের দোকান ঘুরে দেখলাম, চা এক কাপ খাওয়া মানুষের মুল উদ্দ্যেশ্য নয়; টেলিভিশনে ছেড়ে রাখা সিনেমা কিংবা গানের দিকেই আকর্ষণ তাদের। কিন্তু এখন মহামারীর আশংকা রয়েছে। এই মহামারীর রোধ করতে সামাজিক দূরত্ব কিংবা শারীরিক দূরত্ব যাই বলি; সেটা পালন করতে হবে। বিষয়টি মানুষের বুঝতে হবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাটহাজারীর কোনো ইউনিয়নের চায়ের দোকানে আপাতত টেলিভিশন রাখা যাবেনা। প্রত্যেক চায়ের দোকানের টেলিভিশন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জমা রাখতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টেলিভিশনগুলো যার যার দোকানে আবার নিয়ে আসবে।’

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার এই ঘোষণার প্রথম দিনেই ছিপাতলী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মুখ, ইসলামিয়া হাট, ঈদগাহ স্কুল, লাল মোহাম্মদ ব্রিজের পাশে, গাউছিয়া মাদ্রাসা এলাকা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে কয়েকটি টেলিভিশন চায়ের দোকান থেকে সরিয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় নেয়া হয়েছে। সকল ইউনিয়ন পরিষদকে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হয়েছে।


এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!