সাবেক সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইয়াসিন আরাফাত নামের এক শিশুসহ তিনজন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ঘর-বাড়ি ও একটি পিকআপ ভ্যান।

পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ওই সেনা সদস্য।

শুক্রবার (২২ মে) বিকাল ৪টায় লোহাগাড়া পদুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে পশ্চিম পদুয়ার হোদ্দালী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত সেনাসদস্য মোঃ হারুন রশীদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমােদের পার্শ্ববর্তী দুইটা বাড়িতে আগের কোনো ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আমাদের প্রতিবেশী জসিম কয়েকমাস আগে মাদকবিরোধী একটা সমাবেশে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়। যেটা স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলে যায়। এরপর তাকে প্রচুর মারধর করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় মামলাও দায়ের হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালকে দুপুরে আবার জসিম ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সেই মুহুর্তে তারা চেয়ারম্যানকে কল দিয়ে বিষয়টি জানায়। জোহরের নামাজের পরপরই চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে আসে। তারা ঘটনাস্থলে না গিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান জহির পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জসিম ও আয়াতুল্লাদের ঘটনাস্থলে না গিয়ে সন্ত্রাসী বহর নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। মূল কারণ হলো সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। দেশের দুর্যোগময় সময়েও এলাকার ৬ হাজার পরিবারকে নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। যার কারণে সবাই মনে করছে আগামী চেয়াম্যান নির্বাচনে আমি প্রার্থী হব। সেই টেনশন আর আমার জনপ্রিয়তায় জহির চেয়ারম্যান ঈর্শান্বিত হয়ে আমার বসত বাড়িতে তান্ডব চালায়। সেই সাথে আমার বাড়িতে রাখা একটি পিক আপ ভেঙ্গে পুরো তছনছ করে ফেলেছে। এই ঘটনায় একজন শিশু সহ তিনজন আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে লোহাগাড়া থানার ওসিকে কল করি। তিনি পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠান। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত পদুয়ার জহির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, হারুন আর তাদের প্রতিবেশী দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। সেই মুহুর্তে হারুনের বাড়ি থেকে এক মহিলা একটি ইট নিক্ষেপ করে আমাদেরকে লক্ষ্য করে। তখন সেখানে থাকা উত্তেজিত লোকজন তাদের বাড়তিতেও ইট নিক্ষেপ করে। ঘটনা এতটুকুই। এর বাইরে কোন কিছু হয়নি। বাকি সব অভিযোগ মিথ্যা।’

এ ব্যাপারে লোহাগাড়ার থানার সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত করে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

আরএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!