সাত গোলের ম্যাচে আবাহনীর শ্বাসরুদ্ধকর জয়

এএফসি কাপের নকআউট পর্বে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু উত্তর কোরিয়ান প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টিফাইভের ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন আকাশী-নীলদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। তবে স্নায়ুচাপের ম্যাচে শেষ হাসি হাসে আবাহনীই। সাত গোলের রোমাঞ্চমাখা ম্যাচ ৪-৩ গোলে জিতে স্বাগতিকরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার (২১ আগস্ট) ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালসের প্রথম পর্বে জয়ের উৎসবে মাতে আবাহনী।

এএফসি কাপে প্রথম বাংলাদেশি ক্লাব হিসেবে নকআউটে খেলতে নেমেছিল আবাহনী লিমিটেড। ইন্টার জোন প্লে অফ সেমি ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ (৪.২৫ স্পোর্টস ক্লাব নামে পরিচিত)। ইনজুরি ও কার্ড সমস্যায় আবাহনী এই ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে নামতে না পারলেও ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আকাশী-নীলরা। আবাহনীর জার্সিতে জোড়া গোল করেছেন নাইজেরিয়ান তারকা সানডে চিজোবা। একটি করে গোল করেন সোহেল রানা এবং নাবীব নেওয়াজ জীবন।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালসের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর আরও দুটি গোল করে আবাহনী।

কদিন আগে আবাহনী থেকে ভারতের ক্লাবে চলে গেছেন ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি। কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় মিশরের ডিফেন্ডার আলা নাস ইসাকেও নামাতে পারেনি আবাহনী। নিয়মিত তিন খেলোয়াড়কে এই ম্যাচে পায়নি আবাহনী। লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার করানোয় দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে দুই ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও আতিকুর রহমান ফাহাদ। এক সপ্তাহ আগে অনুশীলনের সময় পায়ে চোট পান মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। এদিকে, আবাহনীতে যোগ দিলেও অভিষেক পিছিয়ে যায় মিশরের আলা এলদিন নাসেরের। গত টুর্নামেন্টে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের হয়ে খেলার সময় তিনি লাল কার্ড পেয়েছিলেন। এমন ভঙ্গুর দল নিয়েই একাদশ সাজান আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস।

ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় সোহেল রানার গোলে লিড নেয় আবাহনী। দুই মিনিট পর জং হক চোয়ের গোলে সমতায় ফেরে অতিথিরা। ৩৭ মিনিটের মাথায় নাবীব নেওয়াজ জীবনের গোলে আবারো এগিয়ে যায় আবাহনী (২-১)।

বিরতির পর ম্যাচের ৫৪ মিনিটের মাথায় রিম চোল মিনের গোলে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ ২-২ গোলের সমতায় ফেরে। আবাহনীর বিদেশি অস্ত্র সানজে চিজোবা দলকে ৩-২ গোলের লিড পাইয়ে দিতে গোল করেন ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায়। নাইজেরিয়ার এই তারকা ম্যাচের ৬১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় আর দলের চতুর্থ গোলটি করেন। ৭৭ মিনিটের মাথায় এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের হয়ে ব্যবধান কমানো গোল করেন সং রক প্যাক। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে আবাহনী ৪-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

দুই দলই প্রথম পর্বে নিজ নিজ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে জয়ী দলটি উঠবে জোন ফাইনালে।

এই প্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে উঠেছে নকআউট পর্বে। ওদিকে, গতবার ইন্টার জোন প্লে-অফ ফাইনালে হেরেছিল সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দল এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। দুই দলের ফিরতি ম্যাচ আগামী ২৮ আগস্ট উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!