সাতদিনের চরমপত্র দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়লো সীতাকুণ্ডের জেলেরা

সাগরে মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞার তুলে নেওয়ার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ছলিমপুর বাংলাবাজার এলাকায় অবরোধ করে জেলেরা। অন্তত ২ ঘন্টার অবরোধে মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুরোধে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে।

৯ জুন রোববার সকাল ১০ টায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সীতাকুণ্ডের বাংলাবাজার এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে জেলেরা। এতে ৪০টি জেলেপাড়ার অন্তত এক হাজার নারী পুরুষ অংশ নেয়। এ সময় জেলেরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় মহাসড়কে কয়েক হাজার গাড়ি আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

sitakunda-fisherman-strike

দুপুর ১২টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও এডভোকেট রানা দাশগুপ্তসহ প্রশাসনের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

জানা যায়, মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী নগরীর উত্তর ও দক্ষিণ কাট্টলী থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি জেলেপল্লীর লোকজন মহাসড়কে একসঙ্গে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করে। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সাড়ে ১০টার দিকে তারা রাস্তার দুপাশেই অবস্থান নেয়।

উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন দাস বলেন, ‘গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু জেলে পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করি, তা দিয়েই সংসার চালাই। প্রায় আড়াই মাস যদি মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে এতোগুলো পরিবার চলবে কিভাবে? আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছি।’

এর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মৎস্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলেরা মানববন্ধন এবং গত ১ জুন সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশন এক সংবাদ সম্মেলন করে।

ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাস আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, সাত দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে ৯ জুন থেকে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। তারই অংশ হিসেবে আজ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন জেলেরা।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা আলাপ আলোচনা করে একটা ব্যবস্থা নেব।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!