সাতটি দিন নিয়ে সরকার চিন্তায়, লকডাউন সহসা উঠবে না

১৪ থেকে ২১ জুলাই

আগামী বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান লকডাউনের সময়সীমা থাকলেও সেটা শেষমেশ হচ্ছে না। ইতিমধ্যে চলমান লকডাউন আরও বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সরকার। তবে কোরবানির জন্য সামনের লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এরই মধ্যে রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে নতুন আদেশ জারি করেছে। ফলে ১৪ জুলাই যে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত খুলছে না— এটি প্রায় নিশ্চিত।

আগের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের তৃতীয় সপ্তাহটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগের দুই সপ্তাহের লকডাউনের অর্জন নির্ভর করে তৃতীয় সপ্তাহের কার্যক্রমের ওপর। সেদিক থেকে ১৪ জুলাই থেকে পরবর্তী সাতদিন অর্থাৎ ২১ জুলাই কোরবানির দিন পর্যন্ত সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এজন্য কোরবানি হলেও সরকার যে কোনো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে পারে বলে আভাস মিলেছে। বিশেষ করে করোনায় গত একদিনে ২৩০ জন মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সরকারকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।

কোরবানির ঈদ ও পশুর হাটকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ বেড়ে যায় কিনা— সেটি নিয়েও ভাবছে সরকার। এই সময়টায় সংক্রমণকে যে কোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গেই ভাবছে সরকার। সেক্ষেত্রে পশুর হাটে যাতে বেশি ক্রেতা আসতে না পারেন এবং যারা আসবেন তারাও যেন স্বাস্থ্যবিধি মানেন— সেদিকটায় কঠোর নজরদারি করার পরিকল্পনাও আছে।

এদিকে শনিবার (১০ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি অংশের কাছ থেকে অন্যরকম মতামতও এসেছে। তাদের কেউ কেউ কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমিত পরিসরে পশুর হাট বসানো, শপিংমল খোলা এবং জেলার ভেতরে বাস চলাচলের পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, প্রয়োজন হলে ঈদের পর আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ দেওয়া যেতে পারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!