সাতকানিয়ায় মায়ের ঘাতক মাঈনু, ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মায়ের ঘাতক মাঈনুকে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়ায় থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব-৭।

তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার অভিযোগে মামলাও করেছে র‍্যাব। এর আগে ১৬ আগস্ট রাতে পটিয়া থানায় তার বড় বোন শায়লা শারমিন নীপা মাকে হত্যার দায়ে তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিন পটিয়া থানার উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম হাজারী বাদী হয়ে অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে সাতকানিয়া থানায় অস্ত্র আইনে অপর একটি মামলা হয়েছে মাঈনুর বিরুদ্ধে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাব-৭ মাঈনুকে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়ায় থানায় হস্তান্তর করে।

এর আগে র‍্যাব-৭ তাকে ১৭ আগস্ট বিকেলে ঢাকাগামী একটি বাসে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে এবং তার দেখানো তথ্য মতে সাতকানিয়া থেকে মাকে হত্যায় ব্যবহ্ত অবৈধ পিস্তল উদ্ধার করে।

র‍্যাব-৭ এর পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়া থানায় মামলাটি করেন করেন।

সাতকানিয়া থানার ওসি তারেক মো. আবদুল হান্নান জানান, আসামি মাঈনুকে র‍্যাব-৭ আমাদের কাছে হস্তান্তরের পর পুলিশ তাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে। শনিবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এ নিয়ে নিজ মাকে হত্যাকারী মাঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে পটিয়া ও সাতকানিয়া থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮-৯টি মামলা ছিল।

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, নিজ মাকে গুলি করে হত্যা মামলায় পটিয়া থানায় শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে মাঈনুকে।

মাঈনুকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, মাকে গুলি করে দ্রুত চন্দনাইশের দোহাজারীতে চলে যান মাঈনু। সেখান থেকে পরিচিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সাতকানিয়ায় গিয়ে একটি কারখানায় আশ্রয় নেন। এ সময় তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে মোবাইল ফোন সেট ফেলে দেন। এরপর ঢাকায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার সাতকানিয়ার কেরানিহাট থেকে তিনি ঢাকাগামী বাসে ওঠেন। ওই বাস শাহ আমানত সেতু এলাকায় পৌঁছার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযানে গিয়ে সাতকানিয়া এলাকার একটি গুদাম থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!