সাতকানিয়ায় বাড়ছে চুরি-ডাকাতি, আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দিন দিন বাড়ছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। ডাকাতের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। গত তিন মাসে ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা ও নলুয়ায় তুলনামুলকভাবে বাড়ছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। ফলে মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঢেমশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় এভাবে একের পর এক চুরি-ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বসবাসরত তিন গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, গত ২৫ জুলাই রাতেই একদিনে একাধিক দোকনের মালামাল ও নগর অর্থ চুরি হয়। ওইদিন দিবাগত রাত ১টায় ঢেমশা এলাকার কার্তিকের ছয়টি দোকান থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল নগদ টাকা, মডার্ন গ্রামীণ জুয়েলাসের্র মালিক রতন ধরের দোকান থেকে ১৫ ভরি রুপা ও নগদ টাকা চুরি ও লোটপাট হয়। এছাড়া জনতা ফার্মেসির মালিক বিপ্লবের দোকান, জনতা স্টোরের মালিক পুলক সেনের দোকান, জাহাঙ্গীরের দোকান, মিন্টু সেনের দোকান, টুনটুর দোকান চুরি হয়। এর আগে গত ২৪ জুলাই বিল্লাপাড়া হাজি বাড়িতে তিনটি ঘর ডাকাতি করা হয়েছে। একইভাবে ২২ জুলাই দক্ষিণ পাড়া লক্ষ্মীদাশের বাড়ি ডাকাতি করা হয়েছে। গত মাসের ২৬ জুলাই দেলোয়ার কোম্পানির গাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরি করা হয়েছে এবং সর্বশেষ ২২ এপ্রিল আবদুল মোমেন এবং আবদুল গফুরের দোকান থেকে নগদ টাকা মামামালসহ ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়।

সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাছলিমা আবছার বলেন, অতীতে ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, নলুয়ায় গরু চুরির প্রবণতা বেশি ছিল। আমার কাছে গরু চুরির ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বন্যা হলে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যায়।

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মো. মাসুদ রানা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, চুরি এবং ডাকাতির ঘটনায় কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ এখনও কেউ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। টহল পুলিশের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!