সাতকানিয়ায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা বশির গ্রেপ্তার

চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলা

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আওয়ামী লীগ নেতাকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার বশির আহমদ সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনি।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বারদোনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হকের আদালত ২১ বছর আগে সংঘটিত আলোচিত আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নেজাম উদ্দিন, আবু মোহাম্মদ জাহেদ, আবু মোহাম্মদ রাশেদ, তারেক, জিল্লুর রহমান, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রফিক, ফোরক আহমদ, জসিম উদ্দিন ও বশির আহমেদ।

এই রায়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন বশির আহমেদ। শনিবার তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসলে প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে বশির আহমেদকে র‍্যাব সাতকানিয়া থানায় হস্তান্তর করে। দুপুরে বশির আহমেদকে আদালতে প্রেরণ করেছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বশির আহমদকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। বশির আহমেদ একটা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন আমজাদ হোসেন। ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে মীর্জাখীল দরবার শরীফের ওরশ চলাকালীন সময়ে দরবার শরীফের উত্তর গেইট সংলগ্ন নাছিরের চায়ের দোকানে সন্ত্রাসীরা চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ৪ অক্টোবর নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী সৈয়দা রোশনা আকতার বাদী হয়ে ২০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে সাতকানিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর ২১ বছর পর দ্রুত বিচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!