সাতকানিয়ায় আগুনে পুড়লো ১৩ বসতঘর, ক্ষতি ৭০ লাখ টাকা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় চরতি ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড ব্রাহ্মণডাঙ্গা মাস্টার বাজার এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে অন্যান্য সকল বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের মালিকরা হলেন আলী নবী, জসিম উদ্দিন, সামশুল ইসলাম, মো. আলমগীর, আইয়ুব আলী, মো. শাহজাহান, লেদু মিয়া, আবদুর রহিম, মোহাম্মদ আলী, ছমুদা খাতুন, মুন্নি বেগম, খুরশিদা আক্তার ও মোহাম্মদ রহিম।

আগুনে জসিম উদ্দিনের নগদ ৭ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, সামশুল ইসলামের নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, মো. আলমগীরের ৬৫ হাজার টাকা ও মোহাম্মদ আলীর ৫৫ হাজার টাকা ভষ্মিভূত হয়ে যায়।

জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তরা সকলেই স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী। যার ফলে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাজারের গরু বিক্রি টাকা বসতঘরে রক্ষিত ছিল। খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষতিগ্রস্ত জসিম উদ্দিন, সামশুল ইসলাম ও মন্নি আক্তার বলেন, আলী নবীর বসতঘরের দিক থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়। গভীর রাতে আগুন লাগায় সবাই কোনো রকম প্রাণ নিয়ে বের হয়েছে তারা। ঘর থেকে কিছু বের করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এলাকাবাসীরা ছিল ঘুমে। যার কারণে প্রথম দিকে আগুন নেভানোর মত কোনো মানুষ ছিল না।

সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি যাতে আশপাশের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মালেক বলেন, ‘আগুনে নগদ টাকাসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল মিলে আনুমানিক ৭০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। টিনসেডের বসতঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বর্তমানে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। আমি পরিষদ থেকে কিছু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!