সাতকানিয়ার ওসি জলিলকে হঠাৎ বদলি একমাসের মাথায়

যোগদানের একমাসের মাথায় বদলি হয়ে গেলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল। গত ১২ জানুয়ারি তিনি এই থানায় যোগ দিয়েছিলেন।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের আকস্মিক এই বদলি আদেশে সুনির্দিষ্ট কারণ দেখানো না হলেও মূলত ভোটের সংঘাত ঠেকাতে ব্যর্থতার কারণেই সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিলকে বদলি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়ায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাজালিয়া, খাগরিয়া ও সোনাকানিয়াসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রাণহানির ঘটনা ছাড়াও ভয়ানক অস্ত্রবাজির ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এলাকাবাসী ছাড়াও সরকারের উচ্চপর্যায়ে সমালোচিত হয়।

সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে-পরের সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় চিহ্নিত অস্ত্রবাজসহ গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র এবং কার্তুজ।

সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ, গোলাগুলির খবর এসেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এসব সংঘাতের ঘটনা ঘটে।

ভোটের দিনই বাজালিয়া, খাগরিয়া, নলুয়া ও সোনাকানিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয় বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক সন্ত্রাসীরা। নির্বাচনের দিন দুই জন নিহত হন। এর মধ্যে ভোটের দিন দুপুরে নলুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মরফলা ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তাসিফ নামের এক কিশোর নিহত হয়। অন্যদিকে বাজালিয়ায় নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে মারা যান আব্দুর শুক্কুর (৩৫) নামের এক ব্যক্তি।

এছাড়া খাগরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সোনাকানিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগ ওঠে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!