সবুজে সাজবে আউটার স্টেডিয়াম, ব্যয় ৪ কোটি টাকা

চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে কাজীর দেউড়িস্থ ‘গল্পকাব্য’ এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। অর্থায়ন করছে চসিক।

আধুনিকায়নের আওতায় থাকছে আউটার স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে মাঠের চারিদিকে ড্রেনসহ ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মুক্তমঞ্চ নির্মাণ ও মাঠের সবুজায়নসহ আধুনিকায়ন এবং সাইফুদ্দিন খালেদ রোড থেকে নেভাল এভিনিউ পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ। এছাড়া আরো থাকছে আলোকায়ন ব্যবস্থা, মাঠের চারদিকে ন্যূনতম ৮ ফুট প্রশস্ত ওয়ার্কওয়ে, মাঠে উন্নতমানের ঘাস লাগানো, বাচ্চাদের খেলাধুলা এবং প্রতিবন্ধীদের হাঁটার ব্যবস্থা। কাজের সুবিধার্থে তিনটি লটে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লট-১ এর আওতায় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা; লট-২ এর আওতায় ১ কোটি ৮৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং লট-৩ এর আওতায় ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরকে পরিকল্পিতভাবে সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে পুরো নগরীর ফুটপাত, আইল্যান্ড, মিডিয়ানসহ সবুজায়নে আচ্ছাদিত করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাজীর দেউড়ির আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছিল অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের অবাধ বিচরণস্থল। ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করে থাকতো এখানে। যে কারণে এ সড়কে পথচারীদের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হতো। ইতোমধ্যে এই এলাকায় সুইমিংপুল, আউটার স্টেডিয়ামের ফুটপাত সৌন্দর্যবধর্ন প্রকল্প আওতায় আসায় পথচারীদেরকে আর নাকে রুমাল দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্টেডিয়ামের চারিদিকে নয়নাভিরাম দৃশ্য পরিলক্ষিত হবে। যা যে কোনো অতিথিকে আকর্ষণ করবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আউটার স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে মাঠের চারিদিকে ড্রেন, ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা জন্য মুক্তমঞ্চ নির্মাণসহ নানামুখী কাজ করা হবে। এখানে গ্যালারি নির্মাণ, বসার ব্যবস্থা, সবুজায়নসহ এসএস খালেদ রোড থেকে নেভাল এভিনিউ রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ এবং চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ।

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!