সাগর পথে পাচার হচ্ছে বস্তা ভর্তি ইয়াবা

সাগর পথে পাচার হচ্ছে বস্তা ভর্তি ইয়াবা 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ : বাংলাদেশের জলসীমা ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে আসছে মিয়ানমারের বস্তা ভর্তি ইয়াবা। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, এই সমস্ত ইয়াবা পাচারের মুলহোতারা হচ্ছে ঢাকা চট্রগ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের নাম ঠিকানা প্রশাসনের সদস্যদের জানা নেই। কারন তারা বৈধ ব্যবসার আড়ালে এই অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছে। এরা বাংলাদেশের নাম করা মুখোশধারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। প্রশাসনের নজরে তারা সব সময় সাধু। এদিকে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা যতই কঠোর হচ্ছে ততই বাড়ছে ইয়াবা পাচারকারীদের সংখ্যা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের তৈরী করা মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা দিন দিন বড় আকার ধারন। বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ১২শ ছাড়িয়ে গেছে। নতুন ভাবে তৈরী করা এই তালিকা মধ্যেও অনেক বড় বড় গডফাদারদের কোন নাম ঠিকানা নেই। তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়, সীমান্ত এলাকা টেকনাফসহ কক্সবাজার জেলার আনাচে-কানাছে বাড়া বাসা গুলোতে ঢাকা,চট্রগ্রাম, সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মুখোশধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের বৈধ ব্যবসার আড়ালে এই ইয়াবা পাচারের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। এই সমস্ত অপরাধীরা সাধু সেজে কেউ করছে কাপড়ের দোকান, কেউ করেছে মুদি দোকান, অনেকে আবার টেকনাফ স্থল বন্দরের বিভিন্ন বৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। এতে এই ভদ্র বেশী ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরকে সহজে চিহ্নিত ও আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে পারছে না প্রশাসনের সদস্যরা। কারন তারা সু-কৌশলে তাদের অপকর্ম ও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা ও অসহায় যুবকদেরকে বাহক হিসাবে ব্যবহার করে ভদ্র বেশী মুলহোতারা বার বার থেকে যাচ্ছে প্র্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সীমান্ত এলাকা টেকনাফে মাঝে মাঝে বিজিবি,পুলিশ, কোষ্টগার্ড সদস্যদের হাতে ইয়াবাসহ যে সমস্ত পাচারকারী আটক হচ্ছে তাদের মধ্যেও বেশির ভাগ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা, চট্রগ্রামের যে সমস্ত মুখোশধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের বৈধ ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকাকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার গাড়ী-বাড়ির মালিক হয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। তা না হলে এই সমস্ত অপরাধীরা প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁিক দিয়ে তাদের বৈধ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসার মত এই জগন্য অপরাধ চালিয়ে যাবে। আর বছরের পর বছর ধওে বদনামের ভাগী হবে টেকনাফ উপজেলার সাধারণ মানুষ।

সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১১ জুলাই ভোররাতে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা ১ লক্ষ ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুই জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে-মিয়ানমার আকিয়াব জেলার মন্ডু শহরের সুধাপাড়ার আবুল বাশারের পুত্র মো: আয়াত (২০) একই মৃত মকবুল আহম্মদের পুৃত্র মো: মামুন (২৫)।
তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মাদক ও অবৈধ অনুপ্রবেশ করার দায়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে আমাদের বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। এবং প্রতিনিয়ত উদ্ধার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা। তিনি আরো বলেন, বৈধ ব্যবসার আড়ালে যারা এই অপর্কমের সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করতে হলে স্থানীয় জনগনকে আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। এলাকাবাসী যদি ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে সঠিক ভুমিকা রাখলে ইয়াবা পাচার কাজে জড়িত মুলহোতাদেরকে আমরা খুব সহজে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে পারব।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!