নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ নিধন করায় ১৫ ফিশিং বোট মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। টানা ৭ ঘণ্টা সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে ১২২ মণ ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় বঙ্গোপসাগরে এ অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চল। এ সময় ত্রিশ লাখ টাকার জালও জব্দ করা হয়।
অভিযানে অংশ নেন মৎস্য অধিদফতরের উপ পরিচালক আব্দুর রউফ, উপ সহকারী পরিচালক মঞ্জুর আলম, নৌ পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ সহকারী পরিদর্শক (এসআই) নিউটন।
নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টা নৌ পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চল ও মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সাগরে জাল বসিয়ে ইলিশ মাছ ধরা অবস্থায় ১৫ জন বোটের মাঝিকে বোটসহ আটক করা হয়। আটকের পর প্রত্যেক বোটের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে মাঝিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় ত্রিশ লাখ টাকার টং জাল ও পেকুয়া জাল জব্দ করা হয়। এসব জাল ধ্বংস করা হয়েছে।
অভিযানে ১২২ মণ ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। পরে এসব মাছ নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে মৎস্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ ধরার কারণে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদফতর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু স্থানেও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
মুআ/এমএফও