সাগরে বোট ডুবে নিহত ১৮ ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

২০১৭ সালে লাল বোট দুর্ঘটনায় নিহত ১৮ ব্যক্তির পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে সন্দ্বীপ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটি, আলোকিত সংঘ, সন্দ্বীপ স্টুডেন্ট অ্যাপিনিটি আইআইইসি, ইয়ুথ ক্লাব চিটাগং সন্দ্বীপ।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয় এসব সংগঠনের সদস্যরা।

প্রকৌশলী শামছুল আরেফিন শাকিলের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘লালবোট দুর্ঘটনার পাঁচ বছর হয়ে গেলেও নিহতদের পরিবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে কোনো ধরণের ক্ষতিপূরণ পায়নি। আমরা এ দুই সংস্থাকে অবিলম্বে নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাই। এছাড়া জেলা পরিষদের ইজারাদারের বর্ধিত ভাড়ার নামে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ঘাট উন্মুক্ত করা, ২৪ ঘন্টা রোগী পারাপারসহ যাত্রী আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করা, সি-ট্রাক দেয়াসহ নিরাপদ নৌ যাতায়াত নিশ্চিতের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

মানববন্ধনের সমন্বয়ক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘সন্দ্বীপ নৌরুটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া স্পীড বোট চলছে। এ জন্য ঘাট ইজারাদার নিজের খেয়াল খুশিমত ভাড়া বাড়াচ্ছে। অবৈধ নৌযান হওয়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাড়া বাড়ার ব্যাপারে দায় নিচ্ছে না। এখন প্রত্যেক নৌযানের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে। ভাড়া বাড়ানোর নামে ইজারাদারের চাঁদাবাজির হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে। বৈধ উম্মুক্ত নিরাপদ নৌ-যাতায়াতের দাবি মেনে নিতে হবে।’

প্রসঙ্গত বঙ্গোপসাগরে ২০১৭ সালে স্টিমার থেকে নেমে লাল বোটে করে যাত্রীরা তীরে যাওয়ার সময় সেটি ডুবে যায়। এতে নারী শিশুসহ ১৮ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনার ৫ বছর পার হলেও নিহতদের পরিবারকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি সরকারের দায়িত্বশীল কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান। হাইকোর্ট এক রিটের আদেশে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিসিকে। কিন্তু এই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আপিল করেছে। তাই ঝুলে আছে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি।

এমএফও