সাকিবের খুলনাও পাত্তা পায়নি চট্টগ্রামের সামনে

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে বন্দরনগরীর দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে মাত্র ৮৮ রানে গুড়িয়ে দেয়ার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের খুলনাকে। পর পর দুম্যাচে বোলিংয়ে মুগ্ধ করল চট্টগ্রাম। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারকাসমৃদ্ধ জেমকন খুলনাকে ৮৬ রানেই বেঁধে রেখে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

আগের ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৯ রান তুলেছিল সৌম্য সরকার আর লিটন দাশ। শনিবার (২৮ নভেম্বর) দিনের প্রথম মাচে খুলনার বিপক্ষে ৮৭ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে এ দুজন ১০ ওভারে ৭৩ রান তুলে ম্যাচটিকে এক তরফা বানিয়ে দেন। ২৯ বলে ২৬ রান করা সৌম্য বিদায় নিলেও টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাশ। তার ৪৬ বলে খেলা ৫৩ রানের ইনিংসটিতে কোন ছক্কা না থাকলেও ছিল ৯টি চারের মার।

চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণ বৈচিত্রে ভরপুর। গত প্রেসিডেন্টস কাপ থেকেই বুঝা যাচ্ছিল ‘ধার’ ফিরে পাচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। যুববিশ্বকাপ জয়ী শরিফুল ইসলাম দ্রুতই শিখছিলেন। এদিকে, তাইজুল ইসলাম অ্যাকশন পাল্টে সংক্ষিপ্ত সংস্করনের ক্রিকেটের ‘ধারালো’ হয়েছেন। বোলিংয়ে বাড়তি ভেরিয়েশনের জন্য মোসাদ্দেক হোসেন, সৌম্য সরকার, নাহিদুল ইসলামের মতো বোলাররা ছিলেন চট্টগ্রাম শিবিরে। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও মাত করল চট্টগ্রামের দারুণ বোলিং আক্রমণ।

টস জিতে খুলনাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তিন থেকে এদিন ওপেনিং করতে নেমেছিলেন খুলনার বড় তারকা সাকিব আল হাসান। সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। খুলনার টপ অর্ডার দ্রুতই মুড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা পালন করেছেন নাহিদুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামরা।

২৭ রান তুলতেই প্রথম তিন ব্যাটসম্যান এনামুল হক, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে হারায় খুলনা। তারপর অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলাম, ইমরুল কায়েসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন আরিফুল হক। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান শেষের ওভারগুলোতে এমন কাটার বিষ ঢাললেন যে দলীয় স্কোর একশ’তে আর নিতে পারেনি খুলনা।

মোস্তাফিজ ৩.৫ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫ রান খরচ করে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। ১৭.৫ ওভারে ৮৬ রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা। দলটির পক্ষে ইমরুল সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন। আরিফুল ১৫, জহুরুল ১৪ রান করেন। চট্টগ্রামের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৩০ রানে ও নাহিদুল ইসলাম ১৫ রান খরচায় দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!