সাউদার্ণ গুজরাট চেম্বারের সাথে চিটাগাং চেম্বারের চুক্তি স্বাক্ষর ও মতবিনিময়

ভারতের সাউদার্ণ গুজরাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি বি এস আগারওয়াল’র নেতৃত্বে এক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

 

Photo(India)

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময় শেষে উভয় চেম্বার পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।

 

প্রতিনিধিদলকে স্বাগতঃ জানিয়ে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন চুক্তি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ- ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অশুল্ক বাধা, অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থা, কাস্টম স্টেশনসমূহে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব অন্যতম প্রধান কারণ। তিনি উভয় দেশের স্বার্থে এসব বাধা দূরীকরণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সফর বিনিময়, যোগাযোগ বৃদ্ধি, কারিগরি সহায়তার আদান প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান বাণিজ্যে আরো ২০% প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন। সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে এদেশে ভারতীয়দের বিনিয়োগের আহবান জানান চেম্বার সভাপতি।

গুজরাট চেম্বার সভাপতি বি এস আগারওয়াল বলেন-বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরীপোশাক রপ্তানীকারক হিসেবে বাংলাদেশের প্রচুর পশ্চাদ সংযোগ শিল্পের প্রয়োজন অপরিসীম। তিনি ভারত থেকে ফেব্রিক্স আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে বলে মনে করেন। একই সাথে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে সিনথেটিক, ফেব্রিক্সসহ এ ধরণের শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বিপুলভাবে উপকৃত হবে। এ লক্ষ্যে অচিরেই চিটাগাং চেম্বারের নেতৃত্বে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে গুজরাটের বিখ্যাত টেক্সটাইল হাব সুরাতে আমন্ত্রণ জানান বি এস আগারওয়াল।
চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রাকৃতিক বন্দর উল্লেখ করে বলেন- এ বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়ন করা হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহসহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল আমদানি-রপ্তানীর সাশ্রয়ী সুযোগ পাবে। সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে ভারতীয় গরু আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অপসারণের দাবী জানান।

 

মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা নাজ পারস্পরিক স্বার্থে উভয় দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো বেশী জোরদার করণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ.কে.খান এন্ড কোম্পানী লিঃ’র এমডি সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান আরএমজি রপ্তানীতে ৫০ বিলিয়ন এর লক্ষ্য অর্জনে ভারতের কাছ থেকে কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরীর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানান। চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ডায়মন্ড পলিসি এবং আইটি সেক্টরের সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করেন। উল্লেখ্য, ভারতীয় প্রতিনিধিদল ২৪ আগস্ট চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেড, সিইপিজেড ও পাহাড়তলী এলাকায় বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেন।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা নাজ, চট্টগ্রামস্থ ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারী রাকেশ রমন, এ.কে.খান এন্ড কোম্পানী লিঃ’র এমডি সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বিএসআরএম’র এমডি আমীর আলীহুসেইন, বিজিএমইএ’র পরিচালক এ. এন. এম. সাইফুদ্দিন, ওওসিএল’র জিএম ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, প্রতিনিধিদলের সদস্য অনিষ বিপিনচন্দ্র রাজন বক্তব্য রাখেন। এ সময় চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোঃ জহুরুল আলম, মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), সরওয়ার হাসান জামিল, অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), মোঃ মোঃ জাহেদুল হক, মোঃ আরিফ ইফতেখার এবং সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

রিপোর্ট : মোর্শেদ রনি ::

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!