‘সাংবাদিক’ সেজে ইয়াবা ব্যবসায়ীর হুমকি, বিরিয়ানি—টাকা দাবি

দুই মামলার আসামি মো. ইমরান। করেন ইয়াবা ব্যবসা। কিন্তু ৯ম শ্রেণি পাস করা এই ইয়াবা ব্যবসায়ী হঠাৎ করেই বনে যান ‘সাংবাদিক’! সাংবাদিকের দুটি পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে এবং হাতে মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে ঢুকে যান চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলী হাজী কাচ্চিঘরে। দাবি করেন এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও এক হাজার টাকা। নাহলে ‘লাইভে’ এসে হোটেলের ‘বারোটা বাজানোর’ হুমকি দেন! কৌশলে হোটেল ম্যানেজার পুলিশকে ফোন দিলে হোটেলে গিয়ে ইমরানকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইমরানের পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসায় জড়িত। তার বাবা ডবলমুরিং থানার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বাবুল ওরফে ডাইল বাবুল। তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। আর তার মা শারমিন আক্তার ওরফে ডাইল শারমিন শামীমা আগ্রাবাদ ডেবার পূর্ব পাড় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে ৩টি। ইমরানের বিরুদ্ধেও মামলা ২টি। শিক্ষার দৌড় ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত হলেও হঠাৎ বনে যান সাংবাদিক! দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা এবং আলোকিত চট্টগ্রাম ডটকম নামে দুটি সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন।

হোটেলের ম্যানেজার শামীম জানান, লকডাউনের জন্য তাদের শুধুমাত্র পার্সেলের খাবার চালু আছে এবং তা বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু দোকান মেরামতের কিছু কাজ থাকায় সাটার নামিয়ে কাজ চলছিল। এমন সময় ইমরান চলে আসেন। এসেই তিনি নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে বিরিয়ানি দিতে বলেন। বিরিয়ানি নেই বললে তিনি বলেন, ‘আমাদেরও যদি না খাওয়ান তাহলে খাওয়াবেন কাকে?’ এরপরও আমরা বিরিয়ানি নেই বললে তিনি ক্ষেপে যান এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘লাইভে এখন এই হোটেলের ১২টা বাজানো হবে!’ হোটেল কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি এক প্যাকেট বিরিয়ানি ও ১ হাজার টাকা দাবি করেন।

তার দাবি পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে দোকান থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হলে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি সাংবাদিক পরিচয়পত্র, মোবাইল এবং মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

আরএ/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!