জসাইউ মার্মা,বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবান থানছি রেমাক্রি ইউনিয়নের সংরক্ষিত সাংগু রির্জাভে অবৈধভাবে গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। নীরব রয়েছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানছি উপজেলা রেমাক্রি ইউনিয়নের ‘ম্রুংগংডাং’ পাড়ার এলাকায় ৪০-৬০ জন কাঠুরিয়া শত বছরের সংরক্ষিত মূল্যবান গর্জন ও বিভিন্ন প্রজাতি বৃক্ষ কর্তন করছে । বেপরোয়া ভাবে বন কর্তনের ফলে এই এলাকায় দ্রুত অভয়ারণ্য পরিবেশ ভারসাম্য বিপর্যয় ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে। একটি দেশে মোট ২৫ ভাগ অভয়ারাণ্য থাকা প্রয়োজন।
‘ম্রুংগংডাং’ পাড়া এলাকায় স্থানীয় বাসীন্দারা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ১৭ তারিখে থানছি রেঞ্জ কর্মকর্তা মির আহম্মদ সরেজমিনে গিয়ে ৫০-৬০ ঘনফুট গর্জন ও বিভিন্ন প্রজাতি গাছ আটক করে। পরের দিনে বিজিপি গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে বিজিপি ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ঘন ফুট শত বছরের পুরনো কোটি টাকার মূল্যবান গজর্ন ও বিভিন্ন প্রজাতি গাছ উদ্ধার করে।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে একজনকে আটকের কথা জানায় তারা। এলাকার স্থানীয় বাসীন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান ,পিসিজেএসএস নেতা ও থানছি ভাইস চেয়াম্যান চসাথোয়াই মার্মা এবং চসিংমং (অপসে) নেতৃত্ত্বে সাংগু রিজার্ভে গাছ কাটার উৎসব চলে।
থানছি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এখলাস উদ্দিন জানান, অভিযান চলাকালে বড় করাত ও গাছ কাটার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ আব্দুল মালেক (৩৩বছর) নামে একজনকে আটক করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানায় এখলাস উদ্দিন।
রেমাক্রি ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুইসুইথুই মারমা বলেন, সাংগু রির্জাভ অভয়ারণ্য বন সংরক্ষন করা অতিজরুরি। যারা অবৈধ ভাবে গাছ কাটে তাদের কেিআইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা বলেন, সাংগু সংরক্ষিত অভয়ারণ্যে অবৈধভাবে প্রচুরভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। বিষয়টি তিনি অবগত হওয়ার পর প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান প্রতিনিধি :
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::