গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখের বেশি। আর মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দেশে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৩ জন। এক দিনে করোনার সংক্রমণে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮২ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৮৪৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৯ পুরুষ এবং চারজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১০ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের নয়জন, রংপুরে দুজন, বরিশালে একজন এবং সিলেটে একজন।
তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের দুজন এবং আশি ঊর্ধ্ব একজন রয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, ৪৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১,৩০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৯,০১৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম জেলায় শুক্রবার (২৮ মে) রাত পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৪২৯ জন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৫ জন।
এমএহক