সরানো হল চট্টগ্রাম রেলের ৫% কমিশনখেকো সেই কর্মকর্তাকে

স্টোর ডিপোর নতুন ডিসিওএস পলাশ কুমার সাহা

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রতিবেদন প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হল চট্টগ্রাম রেলের কমিশনখেকো সেই কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান শিকদারকে। দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে ৫% কমিশন নিয়ে ঠিকাদারের কাছে স্টক রিকোয়ারমেন্ট (এসআর) বিক্রি, অফিস বন্ধ রেখে বাসা থেকে কাজ চালানোসহ পুরো অফিসকে কার্যত স্থবির করে দেওয়ার অভিযোগ ছিল।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন পাহাড়তলীতে রেলওয়ে নিউ স্টোর ডিপোর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (ডিসিওএস) আরিফুজ্জামান শিকদারকে পাহাড়তলী বিভাগীয় প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ডিসিওএস (জি) পদে বদলি করা হয়। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

অন্যদিকে আরিফুজ্জামান শিকদারের জায়গায় পলাশ কুমার সাহাকে ডিসিওএস হিসেবে নিউ স্টোর ডিপোতে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের (সিসিএস) দপ্তর।

দীর্ঘদিন ধরেই চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন পাহাড়তলীতে রেলওয়ে নিউ স্টোর ডিপোর দপ্তর সিলগালা রেখে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (ডিসিওএস) আরিফুজ্জামান শিকদার অফিস করছিলেন বাসা থেকে। নিজের বাসভবনে বসেই ৫ শতাংশ কমিশনে স্টক রিকোয়ারমেন্ট (এসআর) বিক্রির অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, কমিশন নিয়ে রেলের কোটি কোটি টাকার কাজ তুলে দিয়েছেন অন্যদের হাতে। এছাড়াও অংশীদার থেকে নিজেও নিয়েছেন স্টক রিকোয়ারমেন্ট (এসআর)। এভাবেই তিনি হয়েছেন প্রচুর বিত্তবৈভবের অধিকারী। একই অভিযোগ রয়েছে ওই অফিসের চিফ ফিল্ড অ্যাসিস্টেন্ট (সিএফএ) সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও।

ঠিকাদাররা বলছেন, ওদের কারণেই সাধারণ ঠিকাদাররা কাজ (স্টক রিকোয়ারমেন্ট কার্যাদেশ) পায় না। বেআইনিভাবে সব কাজ তারাই লগ্নি করে করে রাখেন। এমনকি অফিস প্রতিদিন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায় না অফিসেও।

এসব বিষয় নিয়ে সোমবার (২৯ জুন) চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘ডিসিওএসকে ৫% কমিশন দিলে রেলের কাজ মেলে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আরিফুজ্জামান শিকদারকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।

জেএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!