সমুদ্রবন্দরে মাতারবাড়ির কাছে মার খেল সোনাদিয়া

সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই ৮ বছর পার

কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর আর হবে না। দীর্ঘ আট বছর ঝুলে থাকার পর বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত জানাল সরকার। সোনাদিয়ার নিকটবর্তী স্থান মাতারবাড়িতে যেহেতু একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে, সে কারণে দুটো বন্দর হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার (৩০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। আট বছর আগে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ আইনের’ খসড়া অনুমোদিত হয়েছিল।

মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু মাতারবাড়িতে হয়ে গেছে, সেজন্য সোনাদিয়ায় যদি আবার সমুদ্রবন্দর হয়, তবে আমাদের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের অনেক ভারসাম্য ক্ষুণ্ন হবে। এটা যখন স্টাডিতে ধরা পড়ল তখন সরকার সিদ্ধান্ত নিল সোনাদিয়াতে প্রকৃতির ক্ষতি করে সমুদ্রবন্দর করার দরকার নেই। মাতারবাড়িতেই মাচ মোর স্যুইটেবল।’

গত ১০ মার্চ মাতারবাড়িতে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পায়। প্রকল্পের ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি কোটি ১৬ লাখ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে ঋণ সহযোগিতা হিসেবে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা দিচ্ছে জাপান। এছাড়া সরকার ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা যোগান দেবে। এই প্রকল্পের অধীনে সংযোগ সড়কসহ গভীর সমুদ্র বন্দরে ৩০০ ও ৪৬০ মিটার দীর্ঘ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর ফলে বিশাল জাহাজ থেকে সরাসরি পণ্য ওঠানামা সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!