তীব্র সমালোচনার মুখে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নাগরিকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে গঠিত সার্ভেইল্যান্স কমিটি থেকে বিতর্কিত চিকিৎসক নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকে সার্ভেইল্যান্স কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ। ডা. ফয়সালকে বাদ দিয়ে তার জায়গায় চট্টগ্রাম বিএমএর সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খানকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও সার্ভিলেন্স টিমের আহবায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কমিটি তো আমি করিনি। কমিটি করেছে সরকার। সরকারের তরফে বিভাগীয় কমিশনার। আমি হচ্ছি কমিটির একজন আহবায়ক সদস্য। আমি যেটুকু বুঝেছি সেক্রেটারির জায়গায় এখন সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। দুজনেই একই লাইনের। তবে এ বিষয়ে আমার স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। আমি আগের কমিটি দিয়েই নোটিশ ইস্যু করেছিলাম। পরে যখন জানলাম কমিটি পুনর্গঠন হয়েছে, পরে কলম দিয়ে আগের চিঠিতে স্মারক নাম্বার এইসব চেঞ্জ করতে হয়েছে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানুষকে চিকিৎসাবঞ্চিত করা চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। বেসরকারি হাসপাতালে নাগরিকদের চিকিৎসা পাওয়ার ভোগান্তির জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই ডা. ফয়সাল ইকবাল ও বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলীকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছিলো বিভিন্ন মহল থেকে।
বেসরকারি হাসপাতাল ইস্যুতে নাগরিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে কঠোর অবস্থান নেয় প্রশাসনও। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের সার্ভেইল্যান্স কমিটি গঠন করা হয় বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে।
কিন্তু কমিটি গঠনের পর থেকে কমিটির ২ সদস্যকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। মূলত চট্টগ্রাম বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী ও বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলীর এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিএমএ নেতা ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে। তবে বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী কমিটিতে বহাল আছেন।
তবে কমিটিতে হঠাৎ এই রদবদলের নেপথ্যের কারণ নিয়ে দায়িত্বশীলদের কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।
এআরটি/সিপি