সবাই এখন আওয়ামী লীগ করতে চায়, বললেন কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম

‘এখন সবাই আওয়ামী লীগ করতে চায়, কেউ রাজনীতি করতে চায় না। রাজনীতি করতে চাইলে সৃজনশীলতার চর্চা হতো’— এমন মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘সাংবাদিকতার নামে বিদেশে বসে অনলাইন টিভির নামে প্রতিদিন যা ইচ্ছে তাই বলা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে এত সমালোচনার ঝড়। মুজিববর্ষে ৩ লাখ বাড়ি দিল। ৪০০ বাড়ি ভেঙে পড়লো। মিডিয়া এটা দেখলো না যে, কত মানুষ উপকার পেল। বলছে, বড় প্রকল্প বড় দুর্নীতি। আচ্ছা এত বড় দুর্নীতি হলে তো কোনো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নই হত না। সব তো সফলভাবে শেষ হয়েছে।’

‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, জহুরুল ইসলাম, চৌধুরী ফরিদ, আজাদ তালুকদার, হামিদ উল্লাহ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেবাশীষ পালিত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ দাশ ও গোলাম ফারুক ডলার।

কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হলো ৫১ বছর, কেন এত বছরে চট্টগ্রামে একটা ফ্লাইওভারও হয়নি। কেন আমাদেরই করতে হল। দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো টানেল নেই। তারপরও বলছে, সব লোকদেখানো। যদি ধরেও নিই যে লোকদেখানো, তবু কাজ তো হচ্ছে। বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুকন্যা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন সময় সবার শেখ হাসিনার পিছনে থাকা উচিত। বঙ্গবন্ধুকন্যা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান। আমাদের দেশের বাস্তবতা কী। এই বাস্তবতা যারা তৈরি করেছেন তারা কি কখনও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন?’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ভুল হচ্ছে না, তা নয়। কতটুকু সাফল্য আর কতটুকু ভ্রান্তি তা দেখতে হবে। বারবার বলা হয়, কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নাকি নেই। তাহলে সারাদিন সমালোচনা চলছে কিভাবে?

ছাত্রলীগের প্রসঙ্গ টেনে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের প্রাণের জায়গা, কখনও কখনও লজ্জা আমরাও পাই। কিন্তু ছাত্রলীগের দুয়েকটি জায়গা যেভাবে নেতিবাচক আলোচিত হয়। কিন্তু কোভিডের সময় ছাত্রলীগের লক্ষ নেতাকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তখন আর কেউ এগিয়ে আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘ভুলভ্রান্তি সবার আছে। ছাত্রলীগ তো ব্যবস্থা নিচ্ছে, আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছাড়ছেন না কাউকে। আওয়ামী লীগের কতজন নেতা এখনও মামলা নিয়ে কোর্টের বারান্দায়। কই, কাউকে তো মামলা থেকে ছেড়ে দেননি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!