সবজির বাজারে স্বস্তি, দাম কমছে উল্টো

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে চাল-চিড়া-পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা নিম্নমুখী রয়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে সবজিভেদে কেজিপ্রতি দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজি পচনশীল পণ্য বলে মানুষ এসব মজুদ করতে পারছে না। ফলে দাম বাড়া তো দূরের, উল্টো কমছে।

শুক্রবার (২০ মার্চ) নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের কাঁচাবাজার এবং চৌমুহনী চউক কর্ণফুলী মার্কেট ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এই দুই বাজারের বিক্রেতারা জানান, সবজির দাম মোটামুটি কমেছে। দু-একটার দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়লেও বাকিগুলোর দাম কমেছে বা অপরিবর্তিত রয়েছে। করোনার জন্য যেভাবে চাল, চিড়া আর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, সেই তুলনায় সবজির বাজার খুবই স্থিতিশীল।

সবজিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার (২০ মার্চ) টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ২০ টাকা। গাজর কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ২০ টাকা, শসা ৪০ টাকা (অপরিবর্তিত), ফুলকপি ৫ টাকা কমে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫ টাকা কমে ২৫ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা (অপরিবর্তিত), মুলা ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), লম্ব বা সিলটি বেগুন ৬০ টাকা (অপরিবর্তিত), বেগুন ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), মিষ্টি কুমড়া ৫ টাকা কমে ৪০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), শিম ৫ টাকা টাকা কমে ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা (অপরিবর্তিত), চিচিঙ্গা ৮০ টাকা (অপরিবর্তিত), শিমের বিচি ১০০ টাকা (অপরিবর্তিত), পেঁপে ৫ টাকা কমে ৪০ টাকা, মরিচ ৩০ টাকা (অপরিবর্তিত), ঢেড়স ৭০ টাকা (অপরিবর্তিত), করলা ৭০ টাকা (অপরিবর্তিত) কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

রিয়াজুদ্দিন বাজারে সবজি কিনতে আসা আমির হোসেন বলেন, করোনার জন্য চাল-পেঁয়াজের মত সবজির দামও বেড়েছে মনে করেছিলাম। আসলে সবজির দাম তেমন বাড়েনি। দুই-এক টাকা এদিক ওদিক হয়েছে শুধু।

আরএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!