সন্ধ্যা হলেই মাদকের হাট বসে নন্দীরহাট ও চবির রেলগেইটে!

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার নন্দীর হাটে বসছে মাদকের হাট। সন্ধ্যার পরই মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের রয়েছে বিশেষ সখ্য। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না তারা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল গেইট এলাকায়ও চলছে মাদক বিকিকিনি।

হাটহাজারী থানার নন্দীরহাট কৈলাস নন্দী পুকুরপাড়েই প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বসছে মাদকের আসর। থানা পুলিশের সহায়তায় এ মাদক বাণিজ্য সিন্ডিকেটটি পুরোই নিয়ন্ত্রণ করছে হোসেন নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ী। এলাকায় ইয়াবা হোসেন নামে বেশ পরিচিতি রয়েছে তার। মূলত থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই প্রতিদিন সন্ধ্যার পর চলছে মাদকের প্রকাশ্য বিকিকিনি। হাত বাড়ালেই ইয়াবা পাচ্ছে যুবসমাজ। স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের আসরে আসা মাদকাসক্তদের মাতলামিতে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং রেলস্টেশনেও সন্ধ্যার পর চলছে মাদক বিক্রি। সন্ধ্যার পর থেকে এখানে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে হানিফ নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী। প্রতিদিন রাতে মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এ মাদকের স্পট থেকেও পুলিশ মাসোহারা নিচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

নন্দীরহাট ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও সমাজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. এমরান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হোসেনকে পুলিশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করছে। শুনেছি, পুলিশ একবার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বলেন, এখানে যাদের আনাগোনা তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে আমার ভয় হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে তাদের পরিচয় সুস্পষ্ট।’

নন্দীরহাট সমাজ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন বাদশা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীর কারণে যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে। স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও ইয়াবা আসক্ত হয়ে পড়ছে। ইয়াবার কবল থেকে স্কুল ছাত্র ও যুব সমাজকে রক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।’

এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। মাদক বিক্রেতার সাথে কোন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা থাকলে আপনারা শনাক্ত করে দেন।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!