সন্দ্বীপ চ্যানেলে ভেসে এলো আরও ৭ রোহিঙ্গার লাশ

দুদিনে ১১ লাশ উদ্ধার

নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬ শিশুসহ আরও সাত রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জোয়ারের সময় লাশগুলো ভেসে আসলে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে একজন পুরুষ ও ছয় শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সন্তোষপুর, বাউরিয়া, মগধরা ইউনিয়ন থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। সন্দ্বীপ থানার ডিউটি অফিসার এস আই মোহাম্মদ হাবিব লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় কাঠের নৌকায় ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ৩৮-৪০ জন রোহিঙ্গার একটি দল। পরে ভাসানচর থেকে আনুমানিক ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রামের কাছে বঙ্গোপসাগরে নৌকাটি ডুবে যায়।

কোস্টগার্ড মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছোয়াখালি খাট এলাকা থেকে ৪টি লাশ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় বাউরিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ থেকে আরও একটি মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে তারা।

উদ্ধার করা লাশগুলোর মধ্যে ৬জন শিশুর লাশ রয়েছে। এদের বয়স আনুমানিক ৬ মাস, ১ বছর, ৫ বছর ও ৬ বছর। এর মধ্যে ৪টি মেয়ে শিশু এবং ২টি ছেলে শিশু। এছাড়া একজন ৪৫ বছর বয়সী পুরুষের লাশও উদ্ধার করা হয় এ সময়।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পানিতে অতিরিক্ত সময় থেকে মরদেহগুলো বিকৃত হয়ে গেছে।

এদিকে, নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে।

সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহাম্মদ খান বলেন, লাশগুলো আইনী প্রক্রিয়া শেষে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্টগার্ড সারিকাইত কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সাজু আহামদ জানান, গত দুইদিন সন্দ্বীপ থেকে মোট নয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো ভাষাণচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের স্বজনরা চিহ্নিত করে দাফনের ব্যবস্থা করবে।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন করেছে সরকার। কিন্তু তারা লোভের কারণে দালালদের খপ্পরে পড়ে ছোট নৌকায় পালানোর চেষ্টা করছে।

দালালরা বড় নৌকায় বঙ্গোপসাগর পার করার কথা বললেও ছোট ছোট নৌকা দিয়েই তারা তা করছে। এতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

এআরটি/কেএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!