সন্দ্বীপ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি হতে চেয়ে হামলার শিকার আমজাদ

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী আমজাদ হোসেনের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুন্সিহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। তারা হলেন, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল হায়দার, মো. সাইফুল ইসলাম, গোফরান মাঝি ও তার ছেলে বাপ্পি, মোসলেম উদ্দিন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলের সভাপতি আলাউদ্দিন।

স্থানীয়রা জানায়, মহিউদ্দিন জাফরের ছেলে মিথুন, ফাহিম, রিজভী, রাকিব, সাকিল, রহিম, সাব্বিরসহ আরও কয়েকজন মিলে হঠাৎ আমজাদ হোসেনকে মারধর শুরু করে। তাকে বাঁচাতে কয়েকজন সমর্থক এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও পিটিয়ে আহত করে। যারা আহত হয়েছে তারা সবাই আমজাদ হোসেনের সমর্থক।

হামলার শিকার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল হায়াদার বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় বাজারে চা খেতে যাই। হঠাৎ দেখি ১০-১৫ জন ছেলে এসে আমাকে দোকান থেকে বের হতে বলে। আমি বের না হলে সবাই মিলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমাকে কেনো মারছে কিছুই বলেত পারছি না। যারা আমাকে মেরেছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন জাফরের কর্মী।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমজাদকে সাপোর্ট করি তাই আমাকে মারলো। শুধু আমাকে নয় আরও ৫-৬ জনকে তারা মেরেছে।’

হামলার শিকার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। কোনো রাজনৈতি করি না। শনিবার সন্ধ্যায় বাজারে চা খেতে গেলে আমাকেও মারধর শুরু করে কয়েকজন যুবক। খুব মেরেছে আমাকে। উপজেলা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।’

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরিফুল আলম দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মারধরের বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএএস/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!