সন্দ্বীপের ১৩ ইউনিয়নে ৫ বছর পর ভোট ১১ এপ্রিল

মহেশখালী কুতুবদিয়া টেকনাফেও একই দিনে

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নসহ দেশের ২০ জেলার ৬৩ উপজেলার ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামী ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২ মার্চের পর তফসিল ঘোষণা করা হবে।

এছাড়াও একই দিনে কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের ৭৬তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার যেসব ইউনিয়নে আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্লা, হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, মাইটভাঙ্গা, সারিকাইত, মগধরা, হারামিয়া ও দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ। তবে দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নে সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা, হোয়ানক, মাতারবাড়ী ও কুতুবজোম ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল, বড়ঘোপ, দক্ষিণধুরং, কৈয়ারবিল, লেমুশীখালী ও উত্তরধুরুং ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ১২, ২২ ও ২৩ মার্চ। টেকনাফ উপজেলার হ্লীলা, সাবরাং, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২, ২৬ ও ২৭ মার্চ।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ৭ এপ্রিল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরুর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন। বুধবার কমিশন সভায় ওই তারিখ পরিবর্তন করে ১১ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়।

সিইসি কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসির সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।

কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ৩২৩টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪১টি ও ৯টি পৌরসভার সব কটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হবে। দশটি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস বিবেচনায় নিয়ে এসব ইউপি বাছাই করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত রোজার আগে একটি ধাপে ইউপি ভোটগ্রহণ হবে। এরপর রমজান চলে আসবে। নির্বাচন কমিশন রমজান মাসে নির্বাচন না করার চিন্তা করছে। বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় কত ধাপে ভোট হবে, তা কমিশন এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান তিনি। ইসি সচিব বলেন, কমিশনের লক্ষ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোট হবে। এ জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!