সন্ত্রাসী বগলে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় শুলকবহরের মোরশেদ

চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং লিডারকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদুল আলমের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে আসা একাধিক ছবিতে আলোচিত কিশোর গ্যাং লিডার জসিম উদ্দিন সুমনকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা যায় মোরশেদুল আলমকে। অন্য একটি ছবিতে সুমনসহ অন্য এক যুবকের কাঁধে হাত দিয়ে অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে ছবি তুলতে দেখা যায় মোরশেদকে। জসিম উদ্দিন সুমন গত বছর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরু মোস্তফা টিনুর সাথে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিল। টিনুর অন্যতম প্রধান সহযোগী সুমন পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জে টিনুর হয়ে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে পাশে নিয়ে এভাবে মোরশেদ আকতারের প্রচারণা চালানোকে ভালভাবে নিচ্ছে না স্থানীয় ভোটাররা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন ভোটার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে অস্ত্র নিয়ে গ্রেফতার হলো জসিম উদ্দিন সুমন— সবাই এটা জানে। আমাদের এখানে কিশোর গ্যাং চালিয়ে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসীসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা সুমন করে না। সেই লোককে সাথে নিয়ে একজন প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন এটা খুবই হতাশাজনক। আমরা যারা ভোটার আছি প্রার্থীদের এমন আচরণ আমাদেরকে আতংকিত করে।’

সন্ত্রাসী বগলে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় শুলকবহরের মোরশেদ 1

২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাতে শুলকবহর এলাকার বাসা থেকে কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুসহ জসিম উদ্দিন সুমন র‌্যাবের হাতে আটক হন। তাদের আটকের পর অবৈধ শটগান, বিদেশি পিস্তল ও ৭২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা ছাড়াও সুমনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতারের আরও একটি মামলা রয়েছে সিএমপির পাঁচলাইশ থানায়। বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।

চকবাজার-শুলকবহর এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে জসিম উদ্দিন সুমনের পরিচিতি রয়েছে। চকবাজার-শুলকবহর এলাকায় কোথাও ভবন তৈরি হলে টিনুর সঙ্গে হাজির হতেন সুমন। টাকার বিনিময়ে অন্যের জমি দখল করে দেন তারা। এছাড়া ২ নম্বর গেট এলাকায় পাসপোর্ট অফিস, কোচিং সেন্টার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান— এমনকি ফুটপাতের দোকান থেকেও নিয়মিত চাঁদা তোলেন তারা। এছাড়া এসব এলাকার অবৈধ ডার্ক রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে কথা বলতে কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!