সন্ত্রাসী নয়, নিরীহ মানুষকে হয়রানি

MG_4337_1

রাজনীতিতে কোনো সংশ্রব না থাকলেও জামায়াত-শিবিরের কর্মী অভিযোগে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক এরূপ হয়রানির শিকার হওয়ার কারণে সাধারণের মাঝে বাড়ছে আতঙ্ক ও ক্ষোভ। আর একারণেই ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে এসব ঘটনায় হয়রানির শিকার হওয়া অনেকেই পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সহিংসতা, নাশকতায় যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বোমা সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও প্রকৃত অপরাধীরা এখনও অধরাই রয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাহিনী আটক করতে না পারলেও সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ অভিযানের নামে তাদের মামলার জালে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনো এলাকার চিত্র নয় এটি। এরসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলাতেও এমন ঘটনা ঘটছে। জামায়াত প্রভাবিত জেলায় এমন সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে জানিয়ে, সরকারের শীর্ষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয়। সারাদেশে নাশকতা বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলেও ঘটনায় জড়িত বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গ-সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারদের ‘রহস্যজনকভাবে’ আটক করছে না নিরাপত্তা বাহিনী। বাদ যাচ্ছে প্রকৃত নাশকতাকারীরা। উল্টো নিরীহ নাগরিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নিরীহদের নাশকতা ও সহিংসতার মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নেওয়ারও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, প্রকৃত নাশকতাকারীদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। যারা বাসে পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের জন্য মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। তবে এ ধরনের ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। – আ স

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!