সনাক-টিআইবির উদ্যোগে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মতবিনিময়

চকরিয়া প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সাথে সেবাগ্রহীতাদের অংশগ্রহনে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এর যৌথ উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

pic-02-chakaria-21-09-16

 

গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় হাসপাতালের হলরুমে এ সভা অনুষ্টিত হয়।

 
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ। এতে বক্তব্য রাখেন- চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম খান, চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী মোঃ বশিরুল আলম , চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:মোহাম্মদ ছাবের, এনজিও সম্বনয়ক এএসসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নোমান, সাংবাদিক জহিুরুল ইসলাম ও  আইসিডিডিআরবি’র ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম।
সনাক সদস্য জিয়া উদ্দিন এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চকরিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সহ-সভাপতি হুরে জন্নাত মিলি । কর্মসূচীর উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন টিআইবির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন। এর আগে হাসপাতালের সেবাগ্রহীতারা সেবার মান নিয়ে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

 
এসময় সেবাগ্রহীতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের সেবার মান পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি রয়েছে।
সেবা গ্রহীতা মো. রেজোয়ান বলেন, একশ টাকার বিনিময়ে একজন নার্স সিট থেকে একজন রোগীকে নামিয়ে অন্যজনকে দিয়ে দেয়। তাই নার্স/কর্মচারীদের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের মনোভাব বন্ধ করতে হবে।
সেবা গ্রহীতা মোহাম্মদ আবির বলেন, হাসপাতালে দুপুর ১২টার সময় ডাক্তার দেখানোর জন্য গেলেও তিনি দেখেননি।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী মো. বশিরুল আলম বলেন, হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা আগের তুলনায় ভালো হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো উন্নতি প্রয়োজন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, জনবহুল চকরিয়া উপজেলার একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসাবে অত্র হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপ রয়েছে। সীমিত বরাদ্দ দিয়ে অতিরিক্ত রোগীর সঠিক চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে হিমসিম খেতে হয়। তাই তিনি সেবা গ্রহীতাদেরকে ছোট-খাট রোগের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোঃ আবদুস সালাম ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন অভিযোগের যথাযথ উত্তর দেন। তিনি বলেন, ৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্র চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ বেডের এই হাসপাতালে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ থেকে ১২০ জন রোগি থাকে। সীমিত সংখ্যক নার্স, সার্ভিস স্টাফ ও সরঞ্জাম দিয়ে সকলকে খুশি করা কঠিন। তবে হাসপাতালের সকলেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদানের চেষ্টা করে বলেই রোগীদের সঠিক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য বান্ধব সরকার। সরকারের ভিশন ২০২১ এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ তথা মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারি হাসপাতালে যারা স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে তাদের একটি বড় অংশ হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। তাদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করা কখনোই কাম্য হতে পারেনা।

 

রিপোর্ট : মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া প্রতিনিধি :

এ এস / জি এম এম / আর এস পি ::;

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!