সদরঘাটের দুই গ্রিলকাটা চোর, একের অভিজ্ঞতা শতাধিক আর অন্যজনের দেড়শতাধিক

নগরীতে গ্রিলকাটা চোরদের একাধিক চক্র সক্রিয়। তারা চুরি করে নিরাপদ দূরত্বে সরে যায়। কিন্তু পুলিশ মাঝেমধ্যে তাদের আটক করলেও তারা ছাড়া পেয়ে যায় কোনো না কোনোভাবে। ছাড়া পেয়ে চুরিকেই বেছে নেয় জীবিকা হিসেবে।

বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট এলাকায় ট্রান্সপোর্ট অফিসের চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে খোকন ও রুবেলকে। রুবেল কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নাজমুল হোসেনের ছেলে, খোকন একই এলাকার মো. রফিকের ছেলে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, একজনের শতাধিক এবং অপরজনের দেড়শতাধিক চুরির অভিজ্ঞতা আছে। চোর দলের নেতা বশর বাচ্চুর নেতৃত্বে চুরিতে এদের হাতেখড়ি। বাচ্চুসহ একাধিকবার এরা আটকও হয়েছি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ২৪ জুন বাচ্চুসহ আটক হয়েছিল। এই চক্রের সাথে আলকরণ এলাকার স্বর্ণব্যবসায়ী নারায়ণের চোরাই স্বর্ণ কেনার একটা যোগসূত্র মিলেছিল পুলিশে তদন্তে। নারায়ণও জেল খেটে জামিনে আছেন এখন। আটক খোকন পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক জাহাঙ্গীরের বাসায় চুরির মামলায় জেল খেটেছিল।

নগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা জানান, খোকন ও রুবেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে চুরিই তাদের পেশা। নগরের সর্বত্রই তাদের চুরির অভিজ্ঞতা আছে। তারা প্রথমে জরিপ করে কোন বাসা বা অফিস চুরিটা সহজ হবে। তারপর পরিকল্পনা করে সেই বাসায় চুরি করে। এতে তারা এতই দক্ষ যে, চুরির সময় কেউ টেরই পায় না।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, চুরির টাকায় কেনা একটি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইল সেট ও গ্রিল কাটায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ থানা, হালিশহর থানা, ডবলমুরিং ও কোতোয়ালী থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এফএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!