সকালে কাজে গিয়ে দুপুরে দুই বন্ধু ফিরল লাশ হয়ে

কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে মামুনুর রশিদ (২২), আসিফ (২০) ও জাহাঙ্গীর (২২) তিন বন্ধু মিলে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে সকাল ৮টায় বের হয়। দুপুরে দুই বন্ধু লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেও আরেকজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে চমেক হাসপাতালে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। এখনো জ্ঞান ফিরেনি। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন। আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় পরিবেশটা যেন ভারী হয়ে গেছে। সন্তানের লাশ দেখে বার বার মুর্চা যাচ্ছেন তিন বন্ধুর পিতা-মাতা। তাদের কে দিবে শান্তনা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তারা কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া যাচ্ছিল। তিন জনই নলকূপ স্থাপনের (পাইপ মিস্ত্রি) কাজ করতো। একটি ট্রলি যোগে যন্ত্রপাতি নিয়ে টিউবওয়েল বসানোর জন্য যাচ্ছিল তারা। আজিজ নগর জাইল্যার ঢালা নামক স্থানে পৌঁছলে কক্সবাজার অভিমুখী একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে ট্রলির। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান মামুন ও আসিফ। স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

পেকুয়ায় নিহতদের পরিবারের চলছে শোকের মাতম।
পেকুয়ায় নিহতদের পরিবারের চলছে শোকের মাতম।

নিহত মামুন উপজেলার উত্তর মেহেরনামা তেলিয়াকাটা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। আসিফ একই গ্রামের মানিকের ছেলে। আহত জাহাঙ্গীর সাবেকগুলদী গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামুন এক সন্তানের জনক। তার নাজমুদ শাহাদত নামের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ১২টায় মামুনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে। আসিফের লাশ পৌঁছে দুপুর ২টায়। লাশের পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দু’জনের বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের একনজরে দেখতে শত শত এলাকাবাসী ভিড় জমায়।

মামুনের মা মনোয়ারা বেগম, আসিফের পিতা মানিক জানায়, তারা তিন বন্ধু সকালে একসাথে লোহাগাড়া কাজ করতে যাচ্ছিল। পাইপের কাজ করে তারা। তিনজন এক সাথে কাজ করে। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আমাদের বুকের ধন না ফেরার দেশে চলে গেল।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!