সংশোধনাগারে না হয়ে শিশু কারাগারে কেন, জানতে চেয়েছেন আদালত

নগরীর এমইএস কলেজের সামনে স্কুল ছাত্র জাকির হোসেন সানি হত্যা মামলার এক শিশু (১৭) আসামিকে কিশোর সংশোধনাগারে না রেখে কেন কারাগারে রাখা হয়েছে তা ৭ দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৬ এর বিচারক মঈন উদ্দিন রিমান্ড শুনানির সময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের কাছে এই বিষয়ে জানতে চান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিচারক তা জানতে চান। একই সঙ্গে এজলাসে থাকা ওই শিশু আসামির হাতকড়া খুলে দেওয়ার তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্র জাকির হোসেন সানি হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এক শিশু আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শিশুর পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, ৪ সেপ্টেম্বর আদালত ওই শিশুকে গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠাতে আদেশ দিলেও কারা কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি। বরং অন্য আসামিদের সঙ্গে শিশুটিকে কারাগারে রাখে। এরপর বিচারক এই বিষয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেনের কাছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই বিষয়ের কারণ জানাতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট দুপুরে নগরের খুলশী থানার ওমরগণি এম ই এস কলেজ গেটের বিপরীতে জাকির ছুরিকাঘাতে খুন হয়। নিহত সানি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিনের শ্যালক। ঈদুল আজহার আগে ঢাকা থেকে খুলশীতে বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিল সানি। এই ঘটনায় নিহতের বড় বোন মাহফুজা আক্তার বাদি হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন। মামলায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় মোট ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরমধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!