শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ খোয়াল পাকিস্তান

ঘরের মাঠে দীর্ঘ ৯ বছর আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলতে পারার আক্ষেপ গুছাতে শ্রীলঙ্কাকে ডাকে পাকিস্তান। ২০০৯ সালের এই লাহোরেই লঙ্কান দলের বাসের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই শ্রীলঙ্কাকে শেষ পর্যন্ত বুঝিয়ে তিন ওয়ানডে আর তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাতে সাড়া দেয়নি লঙ্কান দলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা। টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গাসহ দশ ক্রিকেটারই আসেননি পাকিস্তানে। প্রথমে ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও পরের দুই ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসে আর পারল না পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে এরিমধ্যে সিরিজ শেষ সরফরাজ আহমেদের দলের।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লঙ্কান বোলারদের তাণ্ডবে কোনভাবেই উইকেটে থিতু হতে পারেনি টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা পাকিস্তানের ব্যাটাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। এছাড়া মাত্র দুই ব্যাটসম্যান পার করেন কুড়ি রানের কোটা। সরফরাজ আহমেদ করেন ২৬ আর আসিফ আলী করেন ২৯ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বিশ ওভারও খেলে শেষ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৯ ওভারে ১৪৭ রানে সব উইকেট হারিয়ে ৩৫ রানের হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ বিসর্জন দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট নেন নুয়ান প্রদীপ। এছাড়া ৩ উইকেট নেন ওয়াহিন্দু হাসারাঙ্গা, ২ উইকেট নেন ইশুরু উদানা ও ১ উইকেট নেন কাসুন রাজিথা।

এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে দারুণ উজ্জেবিত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির মাঠের লড়াইয়ে মিলল তার প্রমাণ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি সংগ্রহ করেছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৬ রানে ওপেনার দানুস্কা গুনাথিকালা ও ৪১ রানে আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো ফিরে যান। তবে ওয়ানডাউনে মাঠে নেমে দলের হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকসে। সাজঘরে ফেরেন ৭৭ রানের দুরন্ত এক ক্রিকেটীয় ইনিংসে খেলে। শেহান জয়াসুরিয়ার সঙ্গে ৯৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। শেহান জয়াসুরিয়া ৩৪ রানে মাঠ ছাড়লেও ক্যাপ্টেন দাসুন শানাকা ২৭ রানে অপরাজিত থেকে যান।

বল হাতে পাকিস্তানের কোনো বোলারই জ্বলে উঠতে পারেননি। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন ইমাদ ওয়াসিম, ওয়াহাব রিয়াজ ও শাদাব খান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!