‘শ্বাস বা হৃদস্পন্দন বন্ধে প্রাথমিক চিকিৎসা সিপিআর’

কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসসিটেশন (সিপিআর) হল একটি জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা কৌশল। সাময়িকভাবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় কৃত্রিমভাবে চালিয়ে মস্তিস্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ করাকে বলে কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর। হার্ট অ্যাটাক, পানিতে ডুবে যাওয়া বা ইলেক্ট্রিক শকের মত বিভিন্ন কারণে শ্বাস বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে জরুরিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সিপিআর দেয়া হয়। এটি বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচলিত ও স্বীকৃত হলেও আমাদের দেশের জনসাধারণ এ বিষয়ে তেমন জানে না। যে কোনো মানুষ সিপিআর দিতে পারেন যদি আগে থেকে ধারণা নিয়ে থাকেন। সবার উচিত সিপিআর সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা।

শুক্রবাার (১৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ হাসপাতাল কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘হ্যান্ডস অন সিপিআর’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ইয়াং সোশ্যাল এক্টিভিজম বোর্ড (ওয়াই স্যাব)— এর একাডেমিক প্রজেক্ট ‘হেলথ স্কুল’ ওই কর্মশালার আয়োজন করে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মেডিকেলের প্রায় ৪০ তরুণ চিকিৎসক ও শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ওই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এনেস্থেসিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা.নাদিম হায়দার। এছাড়া সমাপনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এনেস্থেসিওলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম শামছুল আলম, পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম, মোডাস ইন্টারন্যাশনাল এর রিজিওনাল অফিসার মো. সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

ওয়াই স্যাব—এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, ‘হ্যান্ডস অন সিপিআর কর্মশালাটি আমাদের নিয়মিত আয়োজন। দেশের সকল নাগরিকের এ বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি কিন্তু দুঃখের হলে ও সত্যি যে আমাদের দেশে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন মেডিকেলের তরুণ চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ আয়োজন করা হলেও সাধারণ পর্যায়ে আমাদের এ আয়োজন সম্প্রসারিত করার ইচ্ছে আছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যে কোন সামাজিক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সিপিআর বিষয়ক কর্মশালা আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করলে আমরা আয়োজনসহ আমাদের সক্ষমতা আনুসারে সার্বিক সহায়তা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!