চট্রগ্রামের মিতু আক্তার খুনের ঘটনায় মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ায় এসপি বাবুল আক্তারের পৈত্রিক বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পুত্রবধূর নির্মম এই হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ ও মা শাহিদা বেগম বিলাপ করছেন আর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।
রোববার সকালে এসপি বাবুলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের বউয়ের খুন হওয়ার খবর শোনার পরই তারা মুচড়ে পড়েছেন।
এ সময় বাবুল আকতারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ আহাজারি করে বলেন, খুব অল্প বয়সেই মিতু আমাদের সংসারে বউ হিসেবে এসেছে। বয়স কম হলেও সে খুবই দায়িত্বশীল ছিল। নিয়মিত আমাদের খোঁজ খবর নিতো। বউমা আমার মেয়ে ছিল। এ যুগে এমন মেয়ে পাওয়া যায় না। এমন নিষ্পাপ মেয়েটারে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলল। আমি এখন ওর ছোট্ট বাচ্চা দুডোরে কী বলে সান্ত্বনা দেব?’ বলছিলেন, ‘প্রমোশনের পর বাবুলরা মাগুরায় আসেনি। তাই এবার চট্টগ্রাম থেকে আসার সময় বউমাকে বলেছিলাম, ঈদ যেন মাগুরাতে করে। বউমা বলেছিল, “মাগুরাতেই ঈদ করব ইনশা আল্লাহ।”’
কান্না বিজড়িত কণ্ঠে মিতুর শাশুড়ি সাহিদা বেগম বলেন, ছেলের বউ হলেও মিতুকে নিজের মেয়ের মতো দেখেছি সব সময়। গতকাল সে আমাদের প্রতিবেশী গরিবদের মধ্যে রমজান উপলক্ষে বিলি করার জন্য তেল চিনি, সেমাই পাঠিয়েছে। এমন ভালো মেয়েকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের যেন আল্লাহ বিচার করেন।
এদিকে সহকর্মীর স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনেই সকাল ১১টায় মাগুরা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ায় পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের বাড়িতে যান। তারা বাবুলের বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আবদুল ওয়াদুদ জানালেন, তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বাবুল আক্তার বড়। জানাজা শেষে মাহমুদার দাফন হবে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গ্রামের বাড়িতে।
রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা অাক্তার মিতুকে হত্যা করা হয়। তার দুটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তাদের ক্যান্টন্টমেন্ট স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::