শেষ ম্যাচেও শ্রীলঙ্কার হার, সিরিজ পাকিস্তানের

পাকিস্তানের মাটিতে হেরেই চলছে শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে অনায়াসে হারায় পাকিস্তান। প্রায় দশ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেট ফেরাটাকে স্মরণীয় করে রাখলো পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেয়া বড় লক্ষ্য ফকর জামান, আবিদ আলি ও হারিস সোহেলের ব্যাটের হাসিতে ৫ উইকেটে হারিয়ে পার হয়ে যায় পাকিস্তান। তাতে করে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতল ক্যাপ্টেন সরফরাজ আহমেদের দল ২-০ ব্যবধানে। শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে নতুন পথের যাত্রা শুরু করলেন পাকিস্তানের নতুন কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল হক।

জয়ের লক্ষ্য ছিল ২৯৮। কিন্তু এ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যটাও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কাছে যেন মামুলি ব্যাপারই মনে হলো। টপ-অর্ডারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় হেসে খেলেই জিতেছে পাকিস্তান। দশ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের বিনিময়ে লক্ষ্য টপকে ২৯৯ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা।

উদ্বোধনী জুটিতে ফকর জামান ও আবিদ আলি মিলে তুলেন নেন ১২৩ রান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকানো বাবর আজম সাজঘরের পথ ধরেন ৩১ রানে। হারিস সোহেল ৫৬ করে ফিরলেও ইফতিখার আহমেদ (২৮*) দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। লঙ্কানদের হয়ে দুটি উইকেট নেন নুয়ান প্রদ্বীপ। তবে তার জন্য এ তারকা পেসারকে খরচ করতে হয় ৫৩ রান।

তার আগে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন লঙ্কান ওপেনার দানুস্কা গুনাথিকালা। হাঁকিয়েছেন দুরন্ত এক সেঞ্চুরি। সুবাদে স্বাগতিক পাকিস্তানের সামনে ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। গুনাথিকালা ১৩৪ বলে খেলেন ১৩৩ রানের অনন্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। এক দিনের ক্রিকেটে এটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। তার ক্যারিয়ারের এ দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ছিল ১৬টি চার ও একটি ছক্কার মার। দাসুন শানাকা সাজঘরে ফেরেন ৪৩ রান নিয়ে। তার সঙ্গে দলীয় স্কোরে ৩৬ করে যোগ করেন ক্যাপ্টেন লাহিরু থিরিমান্নে ও মিনোদ ভানুকা। পাকিস্তানের হয়ে ৫০ রানে তিনটি উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ আমির।

ওয়ানডে সিরিজের পর ৫ অক্টোবর থেকে এবার শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ২৯৭/৭, ৫০ ওভার (গুনাথিকালা ১৩৩, শানাকা ৪৩, থিরিমান্নে ৩৬ ও ভানুকা ৩৬; আমির ৩/৫০)
পাকিস্তান: ২৯৯/৫, ৪৮.২ (ফকর ৭৬, আবিদ ৭৪, হারিস ৫৬; প্রদীপ ২/৫৩)
ম্যাচ ফল: পাকিস্তান পাঁচ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ ফল: তিন ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।
ম্যাচ সেরা: আবিদ আলি।
সিরিজ সেরা: বাবর আজম।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!