শেষ বেলায় নির্বাচনী খেলায় জেতানোর আকুতি মোছলেমের

ভোটের দিনের অপেক্ষায় ভোটাররা

আর দুইয়্যান দিন আছে। আঁই অনরার ভাই। অনারার পোয়া। অনরার কাছে আই আইসছি দে, উগঘা ভোডরলাই! আই অনারার কাছে আত পাতির দে, আঁরে এক্কানবার সুযোগ দঅন’। বৃহষ্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বোয়ালখালীর হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক ডিগ্রি কলেজের পথসভায় এভাবেই বলছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

জীবন সায়াহ্নে এসে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে এভাবেই নিজের জন্মস্থান বোয়ালখালীর আপামর জনগনকে পাশে চাইছেন তিনি। কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নের পাশাপাশি বোয়ালখালীকে উন্নয়ন বঞ্চিত দাবি করে বিভিন্ন উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে বোয়ালখালীবাসীর ভোট চাইছেন মোছলেম।

অন্যদিকে নির্বাচনী এলাকার শহরের দিকের ভোট পাওয়ার প্রশ্নে ভিন্ন কৌশল মোছলেম উদ্দিনের। চান্দগাঁও, মোহরা, বায়োজিদ, পাঁচলাইশের আংশিক অংশগুলোতে দীর্ঘদিন পর এই আসনে দলীয় সাংসদ পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগানোর কথা বলছেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচার অভিযানে নির্বাচনী এলাকায় বলতে গেলে চষে বেড়িয়েছেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। প্রতিদিনই ৪/৫ টি করে পথসভা করেছেন প্রার্থী নিজেই। প্রতিটা পথসভাতেই ভোটারদের উপচে পরা ভীড় ছিল চোখে পরার মত। এছাড়াও মোছলেমের পক্ষে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে প্রচারণা চালিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর , উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। দলের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবীন ও ত্যাগী এই নেতাকে শেষ বয়সে সংসদে পাঠানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তারাও।

শেষ বেলায় নির্বাচনী খেলায় জেতানোর আকুতি মোছলেমের 1
মোছলেমের নির্বাচনী প্রচারণায় মানুষের ঢল

বোয়ালখালীতে ভোটের বেশ জমজমাট প্রচারনা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, পাল্লা দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন বিএনপির নেতা কর্মীরাও। এক ধরনের উদ্বেগ আর আতংকে বিএনপির খুব বেশি সংখ্যক নেতাকর্মী প্রচারনায় অংশ নেয়নি। তবে এটিকে তাদের সাংগঠনিক দূর্বলতা হিসেবেই দেখছেন আওয়ামী লিগের নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। কোথাও কোন ঝামেলা হয়নি। কিন্তু আপনি দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার চিত্রগুলো দেখুন। দেখবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা সেভাবে মাঠে নামেনি। এটার দায় দায়িত্বতো কেউ নিবে না। এটা তাদের সাংগঠনিক দূর্বলতা’

নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিনকে জনগণ বিপুল ম্যান্ডেট দিতে যাছে দাবি করে বোরহান উদ্দিন, সরকার দলীয় সাংসদ না থাকায় বোয়ালখালী উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল অনেকদিন। এবারে বোয়ালখালীবাসী উন্নয়নের স্বার্থে ত্যাগী আর পরিচ্ছন্ন নেতা মোছলেম ভাইকে বেছে নিবে। উনার পক্ষে এলাকায় গনজোয়ার তৈরি হয়েছে।

বোরহান বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি বিভিন্ন এলাকা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এনে জড়ো করছে। আমরা এসব বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার কোন ষড়যন্ত্র হলে কঠোরভাবে তা মোকাবেলা করবো আমরা।

বিএনপি মিথ্যার বেসাতি করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক রেজাউল করিম চলেন, সবাই দেখেছে বোয়ালখালীতে কেমন উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। বিপক্ষ দল থেকে অভিযোগ আসবে এরকম কোন কার্যক্রম আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়নি। অথচ পুরানো অভ্যাস অনুযায়ি বিএনপি গত দুদিন ধরে নানা অভিযোগ অনুযোগ করে যাচ্ছে। মুলত পরাজয় নিশ্চিত জেনেই এসব করছেন তারা।

অন্যদিকে এখানকার ভোটাররা বলছেন, নিজেদের প্রার্থী বেছে নিতে ভোট দেয়ার অধিকার চান তারা।কানুনগোপাড়া এলাকার সবজি বিক্রেতা অমল দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন , মোছলেম উদ্দিন আমাদের সন্তান।তাকে জিতানোর বিষয়ে আমাদের কোন দ্বিমত নাই। বোয়ালখালীর উন্নয়নের জন্য তাঁর বিকল্প নাই। তবে আমরা তাকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে জিতাতে চাই।

এআরটি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!