শেভরণ হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে মোবাইল নিয়ে গেল চোর

হাসপাতালে অপারেশন করাতে এসে মোবাইল হারালেন রোগী ও স্বজনরা। মধ্যরাতে তাদের তিনটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায় চোর। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চুরির ভিডিও দেখা গেলেও ধরা পড়েনি চোর।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের শেভরণ হাসপাতালের ৪০৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার শিকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ চট্টগ্রামের অধ্যাপক নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, তার ছেলে নাফিজ মুরসালিনের (২১) মূত্রনালি সংকোচন সমস্যার কারণে অপারেশন করান ডা. উজ্জ্বল বড়ুয়ার মাধ্যমে। গত রোববার ছেলের অপারেশন শেষ হয় শেভরণে। অপারেশনের পর জ্ঞান ফিরলে ছেলেকে ক্লিনিকের ৪০৪ নম্বর কেবিনে আনা হয়। রুমে নিয়ে আসার পর অপারেশন পরবর্তী কিছু জটিলতা দেখা দেয় ছেলের। কেবিনে ছেলের সঙ্গে ছিলেন মা। ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে কথা বলতে বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী ও তিনি কেবিনের বাইরে যান। তবে কিছু সময়ের জন্য দরজা খোলা রাখেন। এরপর কেবিনে ঢুকে দেখেন, তাদের তিনটি মোবাইল নেই।

বিষয়টি ক্লিনিকের ফ্লোর ইনচার্জকে জানান নাছির উদ্দিন। এরপর ক্লিনিকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যায়, এক লোক কেবিনে ঢুকে প্রথমে সোফায় বসেন। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মোবাইল তিনটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তারপর পাশের রুমে ঢুকেন। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বের হয়ে যান। তবে পাশের রোগীর স্বজনরা লোকটিকে চেনন না বলে জানান।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছুদিন আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে তিনি ক্লিনিকের কেউ নন।

নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার এবং ছেলে ও স্ত্রীর মোবাইল হারিয়েছে। এ যুগে মোবাইল শুধু ডিভাইস না, প্রয়োজনীয় একটি বস্তু।’

তিনি আরও বলেন, ‘চোর না হয়ে অন্য কেউও রুমে ঢুকে আমার ছেলের জীবন নাশও করতে পারতো। এতবড় ক্লিনিক, এত খরচ। তাহলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন এত নাজুক?’

এ বিষয়ে জানতে শেভরণ হাসপাতালের মেডিকেল ডাইরেক্টর দেবাশীষ দত্তের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!